জম্মু-কাশ্মীরে আক্রান্ত হচ্ছেন মুসলিমরা, অশান্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে উপত্যকায়ঃ মেহবুবা মুফতি

জম্মু-কাশ্মীরে মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা আক্রান্ত হচ্ছেন এবং বিশেষ করে গুজ্জর এবং বাকেরওয়াল সম্প্রদায়ের মুসলিমদের মিথ্যে মামলায় জড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করলেন পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির (পিডিপি) প্রধান তথা রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহেবুবা মুফতি।
রবিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে পিডিপি নেত্রী অভিযোগ করেন, রাজ্যপাল সত্যপাল মালিককে এই বিষয়ে অবগত করেছিলেন তিনি। তার পরেও অবস্থার কোনও পরিবর্তন হয়নি। গুজ্জর এবং বাকেরওয়াল সম্প্রদায়ের মুসলিমদের নিগ্রহ করা হচ্ছে। সীমা লঙ্ঘনের ভুয়ো অভিযোগে বা চোরাচালানের দায়ে ফাঁসানো হচ্ছে কয়েকটি মুসলিম সম্প্রদায়কে।
মেহেবুবা মুফতির অভিযোগ, জম্মু -কাশ্মীরের ১৯৪৭ সালের মতো আবহ তৈরি করার চেষ্টা করছে কিছু ধর্মান্ধ। জম্মু-কাশ্মীরের আদি বসবাসকারীদের ‘বহিরাগত’ তকমা লাগিয়ে নির্যাতন করা হচ্ছে। সাংবাদিক বৈঠকে পিডিপি নেত্রী জানান, দেশ যতটা অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের, ততটাই গুজ্জর আর বাকেরওয়ালদের।
উপত্যকাজুড়ে শান্তি ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ করে মেহেবুবা বলেন, রাজ্যপালের নাকের ডগায় এখানকার আদি বসবাসকারীদের নিগৃহীত হতে হচ্ছে। রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক সব জেনেও কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছেন না, বা নেওয়ার চেষ্টা করছেন না। গত বছরের জুলাই মাসে বিজেপির জোট ভেঙে পিডিপির বেরিয়ে আসার পরই এই উৎপীড়ন বেড়েছে বলে মনে করছেন মুফতি। অন্যদিকে, মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চলগুলিতে অভিসন্ধি করে জমির দাম বাড়ানো হচ্ছে, যাতে মুসলিমরা জমি কিনতে না পারেন। নাম না করে কেন্দ্র সরকারকে খোঁচা দিয়ে পিডিপি নেত্রী বলেন, ১৯৪৭ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত জম্মু-কাশ্মীরে ধর্ম ইস্যু মাথাচাড়া দেয়নি। কিন্তু ২০১৪ সাল থেকে উপত্যকায় একরকম অস্থিরতার পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
এর আগে, ফৈজাবাদ ও এলাহাবাদের নাম বদল ইস্যুকে কেন্দ্র করে এক সময়ের শরিক বিজেপিকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন মেহেবুবা মুফতি। অভিযোগ করেছিলেন, মোদী, যোগীরা দেশের মুসলিমকে বার্তা দিচ্ছেন, এদেশ তাদের নয়। দেশের ঐক্যের ঐতিহ্যকে বিজেপি আঘাত হানছে বলে দাবি করেছিলেন তিনি।

Comments are closed.