চৌকিদার এবার ইঞ্জিনিয়র, কেদারনাথে অফিসারদের দিলেন বরফ গলানোর টোটকা, গুহায় ধ্যানমগ্ন ছবি ভাইরাল

চৌকিদার নরেন্দ্র মোদী এবার ইঞ্জিনিয়রের ভূমিকায়। কেদারনাথ ডেভলপমেন্ট প্রোজেক্টের ইঞ্জিনিয়ারদের দিলেন বরফ গলানোর টোটকা।

শনিবার সকালে নরেন্দ্র মোদী পৌঁছন কেদারনাথ মন্দিরে। সেখানে চলছে বিভিন্ন পরিকাঠামো নির্মাণের কাজ। হেলিকপ্টার থেকে নেমে মোদী সোজা চলে যান সেদিকে। ইঞ্জিনিয়রদের প্রকল্প নিয়ে প্রশ্ন করেন। তারপর প্রকল্পের নীল নকশায় চোখ বোলাতে বোলাতে প্রশ্ন করেন, জলের প্রবাহ কোন দিকে যাবে? উত্তর আসে, মাটির তলা দিয়ে জল বয়ে নীচের দিকে। এরপর মোদী বলেন, এই জায়গা তো বরফে ভরে যাবে। অফিসারদের উত্তর, স্যার বরফ গলেও যাবে। নীচে নালার ব্যবস্থা আছে। তা শুনেই নরেন্দ্র মোদীর পরামর্শ, গরম করার কোনও মেশিন লাগানো যায়। এখন তো সৌরবিদ্যুতেও চলবে। মোদী বলে চলেন, এই গর্তের মধ্যে বরফ জমে গেলে, তা গলতে তো অনেক সময় লেগে যাবে। উপরের বরফ গললে কোনও লাভ নেই, নীচের বরফ গলতে হবে। তাহলেই না জল বইবে। এরকম কিছু ভেবো। ইঞ্জিনিয়ারদের কাজের পরামর্শ দিয়ে মন্দিরের দিকে হাঁটা দেন নরেন্দ্র মোদী।  সেসময় তাঁর পরণে ছিল স্লেট রঙের লম্বা পাহাড়ি কুর্তা, কোমরে গেরুয়া গামছা এবং মাথায় পাহাড়ি টুপি। অফিসারদের সঙ্গে গোটা কথোপকথনের ভিডিও প্রধানমন্ত্রী নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেলেও শেয়ার করেছেন।

কেদারনাথ মন্দিরে সময় কাটিয়ে মোদী চলে যান একটি গুহায়। সেখানেই গেরুয়া বস্ত্র পড়ে ধ্যানমগ্ন নরেন্দ্র মোদীর একটি ছবি নেটিজেনদের রসবোধকে উসকে দিয়েছে। ছবি দিয়ে কোথাও লেখা হয়েছে, মোদীজি কি ভোটের আগেই রণে ভঙ্গ দিলেন? আবার কোথাও প্রশ্ন, মোদীজি সেলুনে বসে নেই তো? গুহায় বিছানা থাকে কিনা, তা নিয়েও নেটিজেনদের মধ্যে চর্চা তুঙ্গে। কেউ আবার ক্যামেরাম্যানকে খুঁজতে লেগেছেন। কারও ভয়, গুহায় মেঘ ঢুকে পড়বে না তো! সব মিলিয়ে মোদীজির গুহা-বাস নিয়ে তুমুল কৌতুক সোশ্যাল মিডিয়ায়।

Comments are closed.