শিক্ষা, চাকরি সহ সর্বক্ষেত্রে কি সংরক্ষণ তুলে দেওয়ার পক্ষে আরএসএস! মোহন ভাগবতের মন্তব্য জল্পনা

শিক্ষা ও চাকরিক্ষেত্রে কি সংরক্ষণ তুলে দেওয়ার পক্ষে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (আরএসএস)? আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের মন্তব্যে এমনই ইঙ্গিত পাওয়া গেল। দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী ন্যাশনাল ওপেন ইউনিভার্সিটি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে রবিবার মোহন ভাগবত বলেন, অনেকেই সংরক্ষণের পক্ষে সওয়াল করেন, আবার অনেকেই মনে করেন সংরক্ষণ তুলে দেওয়া উচিত। সংরক্ষণের পক্ষ ও বিপক্ষ, উভয়েরই মতামত জরুরি বলে মন্তব্য করেন আরএসএস প্রধান। তাঁর মতে, সংরক্ষণের যাঁরা পক্ষে এবং যাঁরা বিপক্ষে, উভয়কে নিয়ে আলোচনা প্রয়োজন। আরএসএস প্রধানের এমন মন্তব্যের পরেই শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে জাতীয় রাজনীতিতে।
বিরোধীদের অভিযোগ, সঙ্ঘ এবং বিজেপি যে আসলে দলিত, তফশিলি ও অনগ্রসর জাতিদের সংরক্ষণ প্রক্রিয়ার বিরোধী, এটাই প্রমাণিত হল আরএসএস প্রধানের মন্তব্যে। অন্যদিকে, মোহন ভাগবতের এই মন্তব্যের নিন্দা করেছে মোদি সরকারের এনডিএ জোটের শরিকরাও। মহারাষ্ট্রের রিপাবলিকান পার্টি অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে, সংরক্ষণ বন্ধ করে দেওয়ার কোনও প্রয়াস তারা মানবে না। জনতা দল ইউনাইটেডও উষ্মা প্রকাশ প্রকাশ করেছে আরএসএস প্রধানের এই মন্তব্যে। সামনেই মহারাষ্ট্র ও বিহারের বিধানসভা নির্বাচন। এর মধ্যে সংরক্ষণ বিরোধী তকমা জুটলে মহারাষ্ট্র ও বিহারে যে ঘোর সমস্যায় পড়বেন তাঁরা, তা ভালভাবেই জানেন নীতিশ কুমার।
বিজেপির জোট শরিকদের অস্বস্তি ঠেকাতে সোমবার ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামে আরএসএস। আরএসএসের মুখপাত্র অরুণ কুমার সুর বেশ কয়েকটি ট্যুইট করেন এই প্রসঙ্গে। পাশাপাশি একটি বিবৃতিও দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, মোহন ভাগবতের এই বক্তব্য নিয়ে অহেতুক রাজনীতি করা হচ্ছে। বিবৃতিতে বলা হয়, আরএসএস একেবারেই সংরক্ষণের বিরুদ্ধে নয়। বরং তফশিলি জাতি, উপজাতি এবং অনগ্রসরদের সংরক্ষণ দেওয়ার পূর্ণ সমর্থক তারা। মোহন ভাগবত আসলে বোঝাতে চেয়েছিলেন, যে কোনও বিষয় দু’পক্ষের সুষ্ঠু আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করাই শ্রেয়, বক্তব্য আরএসএসের।

Comments are closed.