ডুরান্ড ফাইনালে হার মোহনবাগানের, চ্যাম্পিয়ন গোকুলাম

ডুরান্ড কাপ কলকাতায় এলো না। শনিবার ফাইনালে গোকুলাম কেরালার কাছে ২-১ গোলে হারল মোহনবাগান। গোকুলাম কেরালা এফসির দুটি গোলই করেন মার্কাস। মোহনবাগানের হয়ে ব্যবধান কমান সালভা চামোরো। ম্যাচের শেষের দিকে টানা আক্রমণ চালিয়ে গেলেও সমতাসূচক গোল পায়নি মোহনবাগান। মোহনবাগানের কাছে সুযোগ ছিল ১৭ বার চ্যাম্পিয়ন হয়ে ইস্টবেঙ্গলকে টপকে সবথেকে বেশি বার ডুরান্ড কাপ জেতার নজির তৈরি করার। কিন্তু সেই নজির গড়তে ব্যর্থ হল মোহনবাগান। শেষবার ২০০০ সালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল মোহনবাগান।
প্রথমার্ধের ৪৫ মিনিটে পিছিয়ে পড়ে মোহনবাগান। হেনরি কিসেকাকে পেনাল্টি বক্সের মধ্যে ফাউল করেন মোহনবাগান গোলরক্ষক দেবজিৎ মজুমদার। পেনাল্টি থেকে গোকুলামকে এগিয়ে দেন মার্কাস। ৫২ মিনিটে আশুতোষ মেহতার ভুল থেকে কাউন্টার অ্যাটাকে দ্বিতীয় গোল করে যান মার্কাস।
এরপর ৯০ মিনিট পর্যন্ত শুধুই মোহনবাগান। একের পর এক আক্রমণ। ফালাফালা হয়ে যাচ্ছিল  গোকুলাম রক্ষণ। আর এই চাপেই ভুল করে ফেললেন সেমিফাইনালের নায়ক গোকুলাম গোলরক্ষক উবেদ। ৬৪ মিনিটে বেইতিয়ায় ফ্রিকিকে সালভার নির্বিষ হেড উবেদের হাত ফসকে জালে। এরপর এই আক্রমণের ঝাঁজ আরও বাড়ায় মোহনবাগান। তখন গোকুলাম রক্ষণভাগের একটাই কাজ কোনওরকমে মোহনবাগান ফুটবলারদের আটকানো। আটকাতে গিয়ে লাল কার্ড দেখলেন গোকুলাম স্টপার জাস্টিন। অতিরিক্ত সময়ের শেষ মিনিটে ভিপি সুহেরের শট পেনাল্টি বক্সের মধ্যে গোকুলামের মহম্মদ ইরশাদের হাতে লাগার অভিযোগ ওঠে। রেফারি অবশ্য পেনাল্টি দেননি। শেষ বাঁশি বাজার পর হতাশায় ভেঙে পড়েন মোহনবাগান ফুটবলাররা।

Comments are closed.