পিছনে ফেললেন জ্যাক মা, জেফ বেজোসদের, এক বছরে মুকেশ আম্বানির সম্পত্তি বেড়েছে ১৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার

২০১৯ সালে এক বছরের মধ্যে ভারত তথা এশিয়ার ধনীতম ব্যক্তি মুকেশ আম্বানির সম্পত্তি বেড়েছে ১৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের। যা আলিবাবা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা-র থেকেও বেশি। ব্লুমবার্গ বিলিওনেয়ারিজ ইনডেক্সে প্রকাশ, রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের কর্ণধার মুকেশ আম্বানির মোট সম্পত্তি ৬১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। চলতি বছরে তিনি ১৮ বিলিয়ন ডলার সম্পত্তি বাড়িয়েছেন। জ্যাক মা বাড়িয়েছেন ১১.৩ বিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা ও কর্ণধার জেফ বেজোস এই বছর ১৩.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খুইয়েছেন।
রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের তেল ও পেট্রোকেমিক্যাল ব্যবসা আরবের তেল সংস্থার সঙ্গে সংযুক্তিকরণের পর প্রায় ৪০ শতাংশ লাভ বেড়েছে আম্বানিদের। সেই সময় থেকে শেয়ার বাজারে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের প্রভাব উর্ধ্বমুখী। টেলি কমিউনিকেশন থেকে খুচরো ব্যবসা সবেতেই লাভ বেড়েছে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের।  ভারতে ই-কমার্স ব্যবসায় অ্যামজনের মতো সংস্থাকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে মুকেশের সংস্থা।
বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের অভিমুখই বদলে দিয়েছেন মুকেশ আম্বানি। শুধু তেল ও গ্যাস নয়, টেলিকম থেকে খুচরো, বর্তমানে ই-কমার্স বাজারে একছত্র আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করে ফেলেছেন এশিয়ার ধনীতম ব্যক্তি।
গত অগস্টে মুকেশ ঘোষণা করেছিলেন, রিলায়েন্সের নতুন ব্যবসাগুলি কয়েক বছরের মধ্যেই সংস্থার ৫০ শতাংশে আয়ে সাহায্য করবে। যা এখনই ৩২ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছে। পাশাপাশি, ৬২ বছরের শিল্পপতির লক্ষ্য, ২০২১ সালের মধ্যে সংস্থার সম্পূর্ণ ঋণমুক্ত করা। এই লক্ষ্যেই কয়েক মাস আগে সৌদি আরবের তেল সংস্থার কাছে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের তেল ও রাসায়নিক সংস্থার সিংহভাগ শেয়ার বিক্রি করে দেন মুকেশ আম্বানি।
২০১৬ সালে জিও-র হাত ধরে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার তিন বছরের মধ্যে তিন গুণ হয়েছে। গত অগাস্ট মাসে মুকেশ আম্বানি জানিয়েছিলেন, তাঁর সংস্থার মোট ঋণের পরিমাণ ১.৫৪ ট্রিলিয়ন টাকা। তবে যে ভাবে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের জয়রথ এগিয়ে চলেছে, তাতে মুকেশ আম্বানির লক্ষ্যপূরণ হয়ে যাবে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।

Comments are closed.