এনআরসি’র বিরুদ্ধে পথে নামুক বাংলা, কলকাতায় এসে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অসহযোগের ডাক কানহাইয়া, কান্ননদের

এনআরসি’র মাধ্যমে দেশ থেকে অনুপ্রবেশকারীদের তাড়ানোর নাম করে আদতে ঐতিহাসিক প্রতিশোধ নিতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার, পথে নেমে অসহযোগের মাধ্যমে এই চক্রান্ত রুখতে হবে। সোমবার কলকাতার রানী রাসমনি অ্যাভেনিউয়ে এনআরসি বিরোধী যুক্ত মঞ্চের সভায় যোগ দিয়ে এই ভাষাতেই কেন্দ্রকে আক্রমণ করলেন বাম যুব নেতা কানহাইয়া কুমার, পদত্যাগী আইএএস কান্নন গোপীনাথন সহ নাগরিক সমাজের একাংশ।

আগামী বছর ১ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে এনপিআর বা ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্টারের কাজ। প্রবল বিরোধিতা সত্ত্বেও আদতে এই এনপিআর-এর আড়ালেই যে কেন্দ্র এনআরসি কাজ করতে চাইছে, এদিন সে কথাই জানিয়েছেন কানহাইয়া। বলেছেন, এনপিআর, এনআরসি এবং লোকসভায় এদিন পেশ হওয়া নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল, সবই আসলে মুদ্রার এপিঠ ও পিঠ। এ সবের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে বিভেদ, দেশের মধ্যে ভয়ের পরিবেশ, মুসলিমদের দেশ থেকে তাড়ানোর চক্রান্ত করছে সরকার। কানহাইয়া এদিন মনে করিয়ে দিয়েছেন, দেশ শুধু সংবিধান মেনে চলতে পারে। সংবিধানে এদেশে ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব দেওয়াকে সমর্থন করে না।
কানহাইয়া কুমারের পাশাপাশি এদিনের সভায় বক্তব্য রাখেন সরকারি চাকরি থেকে পদত্যাগ করা আইএএস কান্নান গোপীনাথন। এদিন বাংলায় ‘এনআরসি মানছি না মানব না’ বলে স্লোগান দেন তিনি। বলেন, মহাত্মা গান্ধীর দেখানো পথে এনআরসি, এনপিআর-এর বিরুদ্ধে অসহযোগ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। মুসলিম বিরোধী এই সরকার এনআরসি, অনুপ্রবেশকারীদের দেশ থেকে তাড়ানোর নাম করে হিন্দুদেরও ভুল বোঝাচ্ছে। তাদেরও বিপদে ফেলতে চাইছে। ঠিক যেভাবে কালো টাকা বন্ধের যুক্তি দিয়ে নোটবন্দি করে গোটা দেশের মানুষকে বিপদে ফেলেছিল এই সরকার, ফের এনআরসি’র নাম করে ওই একই কাণ্ড করতে চাইছে তারা।

 

Comments are closed.