বিহারে ১৬৬ মালী ও প্রহরী পদের জন্য আবেদন ৫ লক্ষের, এমবিএ, স্নাতকোত্তর, ইঞ্জিনিয়াররাও করলেন আবেদন

বিহার বিধানসভায় ১৬৬ টি মালী ও প্রহরী পদে চাকরির জন্য আবেদন জমা পড়ল ৫ লক্ষ। আর আবেদনকারীর মধ্যে রয়েছেন প্রচুর এমবিএ, ইঞ্জিনিয়ার, পোস্ট গ্র্যাজুয়েট। বিরোধীদের অভিযোগ, গ্রুপ ডি-র ১৬৬ টি পদের জন্য ৫ লক্ষ প্রার্থীর আবেদনই প্রমাণ করে দিচ্ছে উচ্চশিক্ষিতদের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে দেওয়ার ব্যাপারে নীতিশ সরকারের অবস্থা। যদিও বিহার সরকারের দাবি, কর্মসংস্থানের অভাব নয়, সরকারি চাকরির প্রতি চিরকালীন মোহের কারণেই মালী, প্রহরীর কাজের জন্য এত সংখ্যক মানুষ আবেদন করেছেন।
কয়েক মাস আগে বিহার বিধানসভার মালী ও প্রহরীর কাজের জন্য ১৬৬ টি পদে কর্মখালির বিজ্ঞাপন দেয় রাজ্য সরকার। নোটিস বেরনোর সঙ্গে সঙ্গেই ফর্ম পূরণের হিড়িক পড়ে যায়। সংশ্লিষ্ট চাকরির জন্য ন্যূনতম যোগ্যতামান দশম শ্রেণি পাশ হলেও, ৫ লক্ষ আবেদনকারীর অধিকাংশই উচ্চশিক্ষিত। কারও রয়েছে এমবিএ ডিগ্রি, কেউ ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ তো কেউ আবার মাস্টার্স করেছেন। এছাড়া স্নাতকরা তো আছেনই।
শূন্যপদ পূরণের জন্য গত সেপ্টেম্বর থেকে এ পর্যন্ত সাড়ে ৪ লক্ষ প্রার্থীর ইন্টারভিউ নেওয়া হয়েছে। বিহার বিধানসভায় প্রতিদিন গড়ে ১,৫০০-১৬০০ প্রার্থী ইন্টারভিউ দিতে আসছেন। যা নিয়েও নীতিশ কুমার সরকারকে নিশানা করছেন বিরোধীরা। আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবের কথায়, ইঞ্জিনিয়ার, এমবিএ ডিগ্রিধারীরা মালী, পিওনের মতো পদের জন্য আবেদন করছেন। এটা কোনও তুচ্ছ বিষয় নয়। কর্মসংস্থান তৈরিতে নীতিশ কুমারের সরকারের ব্যর্থতা দিন দিন প্রকট হচ্ছে। এদিকে প্রতিদিন কেন ১,৫০০ প্রার্থীর ইন্টারভিউ নেওয়া হচ্ছে, তা নিয়ে তদন্তের দাবি তুলেছেন কংগ্রেস নেতা প্রেমচন্দ্র মিশ্র। তাঁর কথায়, কীভাবে প্রার্থীপিছু ১০ সেকেন্ডে ইন্টারভিউ হয়ে যাচ্ছে, তা আমার মাথাতেই ঢুকছে না।
গ্র্যাজুয়েট এক দম্পতি, অজয় কুমার ও স্ত্রী মোনিকা, দু’জনেই এই চাকরির জন্য আবেদন করেছেন। বেসরকারি সংস্থায় দীর্ঘদিন কাজ করা অজয় কুমার জানা, এখন তিনি যে বেতন পান তা দিয়ে সংসার চালানো একপ্রকার অসম্ভব। তাই যে কোনও সরকারি চাকরি পাওয়ার জন্য তিনি এখন মরিয়া হয়ে উঠেছেন।

 

Comments are closed.