ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে বচসা, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু যুবকের, নয়ডার ঘটনায় চাঞ্চল্য

ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু নয়ডায়। মৃতের বাবার অভিযোগ, চেকিংয়ের নামে কর্মরত ট্রাফিক পুলিশের দুর্ব্যবহারের জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েন তাঁর ছেলে। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান বছর ৩৫ এর ওই যুবক।
গত ১ লা সেপ্টেম্বর থেকে লাগু হয়েছে সংশোধিত মোটর ভেহিকেলস অ্যাক্ট। এখন ট্রাফিক আইন ভাঙলেই কড়া আর্থিক সাজার মুখোমুখি হতে হচ্ছে গাড়ি চালকদের। এই প্রেক্ষিতে সামনে এলো একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা। গত রবিবার সন্ধে ৬ টা নাগাদ গাজিয়াবাদের সিআইএসএফের কাছে বছর ৩৫ এর এক ব্যক্তির গাড়ি আটকান কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ। সে সময় গাড়িতে ছিলেন যুবকের বয়স্ক বাবা-মা। অভিযোগ, নতুন মোটর আইনের ভিত্তিতে চেকিং শুরু করেন ট্রাফিক পুলিশ। মৃতের বাবার অভিযোগ, ওই ট্রাফিক পুলিশ তাঁর ছেলের সঙ্গে অত্যন্ত খারাপ ব্যবহার করতে থাকেন। কথা কাটাকাটির মধ্যেই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন সফটওয়্যার সংস্থায় কর্মরত ওই যুবক। এরপর, হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃতের ডায়াবেটিসের সমস্যা ছিল বলে তাঁর পরিবার সূত্রে খবর। মৃতের বাবার দাবি, জোরে গাড়ি চালানো বা ট্রাফিক আইন ভাঙার মতো কোনও অন্যায় করেননি ছেলে। তবু নতুন মোটর আইনের ভিত্তিতে চেকিং শুরু করেন ওই ট্রাফিক পুলিশ। কিন্তু চেকিংয়ের নামে অযথা তাঁদের হয়রানি করা হচ্ছিল অভিযোগ করেন তিনি। এরপরেই অসুস্থ হয়ে পড়ে ছেলে। বৃদ্ধের খেদ, অসময়ে ছেলেকে হারালেন তিনি, আর ৫ বছরের নাতনি হারাল তাঁর বাবাকে। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাছে সুবিচার প্রার্থনা করেছেন।
অন্যদিকে, নয়ডা পুলিশ জানিয়েছে, বিভিন্ন মিডিয়া রিপোর্টের ভিত্তিতে তাদের কাছে এই খবর পৌঁছেছে। ইতিমধ্যে তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।

Comments are closed.