দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার নেমে এসেছে ৪.৫ শতাংশে। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস থেকে, খাদ্যদ্রব্য, পেট্রোপণ্য, দাম বাড়ছে হু হু করে। ফলে তলানিতে ঠেকেছে চাহিদা। থমকে গিয়েছে শিল্পোৎপাদন, ভাটার টান গাড়ি সহ দেশের একাধিক উৎপাদন শিল্পে। শ্লথ হচ্ছে আর্থিক বৃদ্ধির গতি। এই অবস্থায় কেন্দ্রের আশ্বাস ও পদক্ষেপেও কাজ হচ্ছে না। আশঙ্কা বাড়িয়ে আরও কমতে পারে জিডিপির হার।
এই অবস্থায় এগিয়ে আসছে বাজেটের সময়। পরবর্তী বাজেট নিয়ে তাই আলোচনা শুরু করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন সহ অর্থ মন্ত্রকের কর্তারা। এবার আসরে নামলেন প্রধানমন্ত্রীও। দেশের আর্থিক বৃদ্ধি কীভাবে বাড়ানো যায়, তা নিয়ে সোমবার নিজের বাসভবনে দেশের গুরুত্বপূর্ণ শিল্পপতিদের সঙ্গে এক বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৈঠকে ছিলেন রিলায়েন্স কর্তা মুকেশ আম্বানী, টাটা গোষ্ঠীর রতন টাটা, মহিন্দ্রা অ্যান্ড মহিন্দ্রার আনন্দ মহিন্দ্রা, এয়ারটেলের সুনীল মিত্তল, গৌতম আদানি প্রমুখ। জানা গিয়েছে, আসন্ন বাজেটের আগে এদিন শিল্প মহলের মন বুঝতে চেয়েছেন মোদী। তাঁদের দাবি দাওয়া ও পরামর্শ শুনেছেন। সূত্রের খবর, বাজেটের আগে লাগাতার বিভিন্ন ব্যাঙ্ক ও শিল্প মহলের কর্তাদের সাথে আলোচনা করছেন মোদী।
ঘটনা হল, চলতি অর্থবর্ষের জুলাই-সেপ্টেম্বরের ত্রৈমাসিক রিপোর্ট বলছে দেশের আর্থিক বৃদ্ধি ঠেকেছে ৪.৫ শতাংশে। যা গত ৬ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। তা আরও কমার আশঙ্কা রয়েছে। বেকারত্ব পৌঁছে গিয়েছে গত ৪৫ বছরর মধ্যে সর্বনিম্ন স্তরে। আরবিআই, বিশ্ব ব্যাঙ্ক, আন্তর্জাতিক অর্থ ভান্ডারের তরফেও ভারতের জিডিপি কমার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। বিরোধীদের দাবি, দেশ মন্দার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে।
এমন অবস্থায় কর্পোরেট করে ছাড়, ব্যাঙ্ক সংযুক্তিকরণের প্রস্তাব, আর্থিক ত্রাণ প্রকল্প, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সুদের হার কমানোর সিদ্ধান্ত, কোনও কিছুই অর্থনীতির পালে হাওয়া লাগাতে পারছে না। বিরোধীদের অভিযোগ ক্রমশ বাড়ছে। সাধারণ মানুষও আতঙ্কিত। এই পরিস্থিতিতেই এবার অর্থনীতির হাল ফেরাতে নিজে আসরে নেমে একের পর এক বৈঠকের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।