ময়দানের হাতে হাত ধরে লড়াই, অবশেষে বাড়ি ফিরছেন মোহনবাগান সমর্থক প্রতনু, তিন প্রধানের সমর্থকদের কৃতজ্ঞতা পরিবারের

অবশেষে লড়াই সফল। হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরছেন মোহনবাগান সমর্থক প্রতনু পাখিরা। প্রিয় দলের ম্যাচ দেখতে কয়েকদিন আগে শিয়ালদা থেকে ট্রেনে কল্যাণী যাচ্ছিলেন শিয়ালদহের স্কট লেনের এই মোহনবাগান সমর্থক। যাওয়ার সময় খড়দহ এবং টিটাগর স্টেশনের মাঝে রেললাইনের ইলেকট্রিক পোস্টে ধাক্কা খেয়ে গুরুতর জখম হন প্রতনু। তাঁর কপালে গুরুতর আঘাত লাগে। ঘিলু বেরিয়ে আসে। ঘাড়ের হাড় ভেঙে যায়। গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় একটি চোখ।
তাঁকে নিয়ে আসা হয় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। কিন্তু পরিকাঠামোর অভাবে তাঁকে সেখানে ভর্তি করা যায়নি। এরপরে প্রতনুকে নিয়ে যাওয়া হয় বাইপাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। ভেন্টিলেশনে ভর্তি করা হয় তাঁকে। তারপর শুরু হয় তাঁকে বাঁচানোর লড়াই। মোহনবাগান সমর্থকের বাবা শিয়ালদহের কাছে একটি ফুটপাতে মাছ বিক্রি করেন। তাঁর পক্ষে চিকিৎসার দায়ভার বহন করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছিল টাকার অঙ্ক। এই সময়ে প্রতনুর পরিবারের পাশে এগিয়ে আসেন ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান সমর্থকরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে অর্থ সংগ্রহ শুরু হয়। ইস্টবেঙ্গল ম্যানেজার দেবরাজ চৌধুরী, ইস্টবেঙ্গল কর্মসমিতির অন্যতম সদস্য সৈকত গাঙ্গুলি, মহামেডান স্পোটিং টিডি এবং প্রাক্তন ফুটবলার দীপেন্দু বিশ্বাস এগিয়ে আসেন। এছাড়াও অর্থ সাহায্য করেন দুই প্রধানের অসংখ্য সমর্থক।
অবশেষে লড়াই সফল। অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠেছেন এই মোহনবাগান সমর্থক। ভেন্টিলেশন থেকে বের করে আনা হয়েছিল দিন তিনেক আগে। সব ঠিক থাকলে বৃহস্পতিবার রিলিজ দেওয়া হবে তাঁকে। তাঁর বাড়ির লোক কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন এগিয়ে আসা সব ফুটবলপ্রেমীকে। প্রতনুকে বাঁচাতে ময়দানের এই লড়াই বহুদিন স্মরণে থাকবে সবার।

Comments are closed.