অসমে এনআরসির দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার প্রতীক হাজেলার বিরুদ্ধে বিপুল আর্থিক তছরুপের অভিযোগ, এফআইআর

দুর্নীতির অভিযোগে অসমে এনআরসি তালিকা তৈরির মূল দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক আইএএস অফিসার প্রতীক হাজেলার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হল।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার অসম পাবলিক ওয়ার্কস-এর তরফ হাজেলার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
এনআরসি তালিকা তৈরির সময় বিপুল পরিমাণ অর্থের অপব্যবহারের অভিযোগ আনা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। অসমে এনআরসির তালিকা তৈরির কো-অর্ডিনেটরের দায়িত্বে ছিলেন প্রতীক হাজেলা। সিবিআইয়ের অ্যান্টি কোরাপশন ব্রাঞ্চের সঙ্গে যৌথভাবে প্রতীক হাজেলার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে অসম পূর্ত দফতর। উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত দাবি করা হয়েছে।
এই এফআইআর-এ বলা হয়েছে, হাজেলা তাঁর সহযোগীদের সঙ্গে মিলে এই বিপুল অর্থ নয়ছয় করেছেন। সুপ্রিম কোর্টে এনআরসির তালিকা সংশোধনের আবেদন জানিয়েছিল অসম পাবলিক ওয়ার্কস। দফতরের সদস্য সঞ্জীব ডেকা জানিয়েছেন, এনআরসি’র জন্য কেন্দ্রের পাঠানো অর্থ স্টেট অর্ডিনেটর-এর মাধ্যমে খরচ করা হয়েছিল। ইতিমধ্যে ১৬০০ কোটি টাকা খরচ করা হয়ে গিয়েছে, সেখানেই ধরা পড়েছে গরমিল।
গত মাসেই ১৯৯৫ ব্যাচের আইএএস অফিসার প্রতীক হাজেলাকে মধ্যপ্রদেশে বদলির নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। চলতি বছরের ১২ নভেম্বর তাঁকে অসমে নাগরিকপঞ্জির তালিকার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
এফআইআরে বলা হয়েছে, হাজেলা বিপুল পারিশ্রমিকের বিনিময়ে বেশ কয়েকজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মীকে নিয়োগ করেছিলেন এনআরসির তালিকা সংশোধনের কাজে। তাঁদের নতুন গাড়িও দেওয়া হয়। এমনকী হিসেবে দেখানো হয়েছে, প্রায় ১০ হাজারের মতো ল্যাপটপ কেনা হয়েছিল এই কাজে। যার প্রত্যেকটি দাম পড়েছে প্রায় ৪৪ হাজার ৫০০ টাকা করে।
অসমে এনআরসির তালিকা থেকে বিপুল পরিমাণ হিন্দুর নাম বাদ পড়ায় যথেষ্ট চাপে রয়েছে অসমের বিজেপি সরকার। চাপে রয়েছে কেন্দ্রও। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ইতিমধ্যেই ইঙ্গিত দিয়েছেন, গোটা দেশে চালু করা হবে এনআরসি, সেই সঙ্গে পুনর্মূল্যায়ন করা হতে পারে অসমের এনআরসি তালিকাও।

 

Comments are closed.