রাফাল চুক্তিতে ‘সমান্তরাল আলোচনা’ নয়, নজরদারি করেছিল প্রধানমন্ত্রীর অফিস, সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্র

রাফাল চুক্তিতে প্রধানমন্ত্রীর অফিস (পিএমও) কেবল নজরদারি করেছিল, ফ্রান্সের সঙ্গে মোটেই ‘সমান্তরাল আলোচনা’ চালায়নি, রাফাল পুনর্বিবেচনা মামলায় সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করল সরকারি পক্ষ।
শনিবার কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে একটি ১৩ পাতার হলফনামা জমা দেওয়া সুপ্রিম কোর্টে। তাতে দাবি করা হয়, রাফাল চুক্তি হোক বা অনিল আম্বানীর সংস্থাকে অফসেট পার্টনার হিসেবে নিয়োগ করা হোক, পুরো বিষয়টি হয়েছে নিয়ম মাফিক। এতে মোদী সরকার কোনও অযাচিত হস্তক্ষেপ করেনি বলে দাবি করা হয়।
আদালতে সরকার পক্ষের দাবি, রাফাল চুক্তির অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর অফিস ও ফ্রান্স সরকারের শলা পরামর্শকে কোনওভাবেই ‘সমান্তরাল আলোচনা’ বলা চলে না। রাফাল চুক্তি সংক্রান্ত স্বচ্ছতা নিয়ে কোনও সংশয় ছিল না বলেই তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পারিক্কর জানিয়েছিলেন, দু’দেশের শীর্ষ সম্মেলনের পরে, প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রক ও ফরাসি প্রেসিডেন্টের অফিস রাফাল চুক্তি এগিয়ে নিয়ে যেতে বিশেষ সাহায্য করেছেন, হলফনামায় উল্লেখ করে সরকার পক্ষ।
২০১৮ সালের ১৪ ই ডিসেম্বর রাফাল মামলায় সুপ্রিম কোর্টের ক্লিনচিট পেয়ে গিয়েছিল বিজেপি সরকার। কিন্তু চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে সর্বভারতীয় ইংরেজি সংবাদপত্র ‘দ্য হিন্দু’র বেশ কয়েকটি প্রতিবেদন নতুন করে রাফাল প্রসঙ্গে বিতর্ক তৈরি করে। যার মধ্যে একটি রিপোর্টে উঠে আসে, ৩৬ টি রাফাল যুদ্ধ বিমান কিনতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অফিস ফরাসি সরকারের সঙ্গে ‘সমান্তরাল আলোচনা’ চালিয়েছিল।
‘দ্য হিন্দু’র এই প্রতিবেদনগুলির প্রেক্ষিতে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যশবন্ত সিনহা, অরুণ শৌরি ও আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ রাফাল মামলায় পুনর্বিবেচনার আবেদন জানান শীর্ষ আদালতে।
শনিবার এই মামলার শুনানিতে সরকার পক্ষের দাবি, দু’দেশের অভ্যন্তরীণ আলোচনাকে বাইরে এনে নিজেদের নির্বাচন করা একটি অসম্পূর্ণ চিত্রকে আদালতে উপস্থাপনের চেষ্টা করছেন আইনজীবী প্রশান্তভূষণরা। সরকার পক্ষের আরও অভিযোগ, কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টকে সামনে রেখে শুধু বিতর্ক তৈরি করতে চাইছেন পিটিশনকারীরা।

Comments are closed.