নবীন পট্টনায়েক আসলে মোদীর মতোই স্বৈরাচারী, ওড়িশায় বিজেডিকে তোপ রাহুলের

ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েককে ‘স্বৈরাচারী’ বলে তোপ দাগলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। শুক্রবার ওড়িশার এক সভা থেকে রাহুলের অভিযোগ, এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এক্কেবারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সংস্করণ। দু’জনেই স্বৈরাচারী শাসনে বিশ্বাসী।
রাহুলের কথায়, তাঁদের দু’দলেরই (কংগ্রেস ও বিজু জনতা দল) লড়াই বিজেপির বিরুদ্ধে। কিন্তু ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজু জনতা দল প্রধান নবীন পট্টনায়েক বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর মতোই ‘স্বৈরাচারী’। ক্ষমতা কায়েম করা রাখাই এই দু’জনের আসল লক্ষ্য। কংগ্রেস সভাপতির আরও অভিযোগ, তলায় তলায় নরেন্দ্র মোদীর ও নবীন পট্টনায়েকের বোঝাপড়া রয়েছে। বিজেপি সরকারের জিএসটি থেকে নোটবন্দির সিদ্ধান্ত কিংবা পার্লামেন্টে বিভিন্ন বিল পাশ, সবেতেই সমর্থন রয়েছে নবীন পট্টনায়েকের সরকারের। রাহুল গান্ধীর ঘোষণা, এই একনায়কতন্ত্র সরকারকে উৎখাত করে ওড়িশায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করাই তাঁর লক্ষ্য।
প্রসঙ্গত, এক সময়ের বিজেপির সঙ্গে জোট গড়লেও আগামী লোকসভা নির্বাচনে কারও সঙ্গেই জোট করার পক্ষপাতী নন নবীন পট্টনায়েক। বিজেপি থেকে কংগ্রেস দু’তরফই তাঁকে জোটে টানতে আগ্রহী হয়েছিল। কিছুদিন আগে তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রশেখর রাও ওড়িশায় গিয়েছিলেন নবীনের সঙ্গে বিজেপি ও কংগ্রেস বিরোধী জোট গড়ার শলা-পরামর্শ করতে। ২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে ওড়িশার ২১টি আসনের মধ্যে ২০ টিতে জয়ী বিজু জনতা দল প্রধান কারওর ডাকে সাড়া না দিয়ে ‘একলা চলো’ নীতি নিয়েছেন ।
বিভিন্ন রাজ্যেই বিজেপির জোট সঙ্গীরা তাদের ছেড়ে চলে যাচ্ছে। এদিকে, উত্তর প্রদেশে অখিলেশ-মায়াবতী জুটি কংগ্রেসকে বাদ রেখেই জোট গড়ে ফেলায় চাপে পড়েছে কংগ্রেস।

Comments are closed.