আমেঠিতে জয় কি নিশ্চিত নয়? কেরলের ওয়াইনড আসন থেকেও লোকসভা ভোটে লড়বেন রাহুল গান্ধী

দীর্ঘ বছর ধরে কার্যত পারিবারিক আসন আমেঠি কেন্দ্রে কি জিততে ভরসা পাচ্ছেন না কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী? তা না হলে কেন আমেঠির পাশাপাশি দেশের অন্য একটি আসন থেকে ভোটে লড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন রাহুল? সূত্রের খবর, দক্ষিণ ভারতের কেরল থেকেও লোকসভা ভোটে লড়তে চলেছেন কংগ্রেস সভাপতি।
এমনই খবর মিলছে কংগ্রেস হাইকমান্ড সূত্রে। সূত্রের খবর, উত্তর প্রদেশের আমেঠির পাশাপাশি কেরলের ওয়াইনড আসন থেকে এবার ভোটে লড়বেন রাহুল গান্ধী।
গত ২০১৪ লোকসভা ভোটে আমেঠি কেন্দ্র থেকে রাহুল গান্ধী ১ লক্ষের সামান্য বেশি ভোটে হারিয়েছিলেন বিজেপির স্মৃতি ইরানিকে। কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে ফারাক ছিল ১ লক্ষ ৭ হাজার ৯০৩ ভোটের। এবারও আমেঠি আসনে বিজেপি নেতৃত্ব স্মৃতি ইরানিকেই প্রার্থী করেছে। বিজেপি শিবির আশাবাদী, আমেঠি আসন থেকে কংগ্রেস সভাপতির এবার জেতার কোনও আশাই নেই। বিজেপি নেতৃত্বের এই দাবির পিছনে মূল কারণ, ২০১৭ সালের উত্তর প্রদেশ বিধানসভা ভোটের ফলাফল। সেই নির্বাচনে আমেঠি লোকসভার অন্তর্গত ৫ টি বিধানসভা কেন্দ্রেই বিজেপি অনেক বেশি ভোট পেয়ে এগিয়ে ছিল কংগ্রেসের তুলনায়। আমেঠি লোকসভার অন্তর্গত বিধানসভা কেন্দ্রগুলি হল তিলোই, সালোন, জগদীশপুর, গৌরিগঞ্জ এবং আমেঠি। এই ৫ টি বিধানসভা কেন্দ্রেই ২০১৭ সালে বহু ভোটে জয়লাভ করে বিজেপি। ৩ টি কেন্দ্রে কংগ্রেস দ্বিতীয় হয় এবং একটি করে কেন্দ্রে দ্বিতীয় হয়েছিল এসপি এবং বিএসপি। বিজেপি মোট ৩ লক্ষ ২২ হাজার ৫৯২ ভোট পেয়েছিল, যা ২০১৪ সালের লোকসভায় স্মৃতি ইরানির প্রাপ্ত ভোটের থেকে বেশি।
এই পরিস্থিতিতে জাতীয় রাজনীতিতে কিছুদিন ধরেই জল্পনা চলছিল, রাহুল কি শুধু আমেঠির ওপরই ভরসা রাখবেন, না অন্য কোনও আসনও বেছে নেবেন। কেরল কংগ্রেসের প্রধান মুল্লাপল্লি রামচন্দ্রণ শনিবার জানিয়েছেন, কেরলের ওয়াইনড কেন্দ্র থেকে এবার লোকসভা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন রাহুল গান্ধী। কর্ণাটক সীমানা এলাকার এই ওয়াইনড আসন বহুদিন ধরেই কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি। মাসখানেক আগে এই আসন থেকে রাহুল গান্ধীকে ভোটে লড়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। সম্প্রতি কংগ্রেস সভাপতি তাতে সম্মতি দিয়েছেন বলে কেরল কংগ্রেস সূত্রে খবর।
এর আগে ইন্দিরা গান্ধী এবং সোনিয়া গান্ধী দু’জনেই দক্ষিণ ভারতের রাজ্য কর্ণাটক থেকে লোকসভা ভোটে লড়েছেন। ১৯৭৮ সালে ইন্দিরা গান্ধী চিকমাগালুর আসন থেকে উপনির্বাচনে জয়লাভ করেছিলেন। ১৯৯৯ সালে সোনিয়া গান্ধী আমেঠির পাশাপাশি বেল্লারি আসন থেকে ভোটে লড়েন এবং দুটি কেন্দ্র থেকেই জেতেন। এবার রাহুলও ঠাকুমা, মায়ের পদাঙ্ক অনুসরণ করে দক্ষিণ ভারতের রাজ্যকেই বেছে নিলেন ভোটে লড়ার জন্য।

Comments are closed.