‘মোদী শিবলিঙ্গের ওপর বসা কাঁকড়া বিছে’, আরএসএস-প্রধানমন্ত্রীর সম্পর্ক নিয়ে কটাক্ষ শশী থারুরের

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে আরএসএসের সংঘাতের প্রসঙ্গে টেনে জাতীয় রাজনীতিতে নতুন বিতর্ক উস্কে দিলেন কংগ্রেস সাংসদ এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শশী থারুর। রবিবার বেঙ্গালুরুতে এক অনুষ্ঠানে শশী থারুর মন্তব্য করেন, ‘আরএসএসের শীর্ষ নেতৃত্ব মোদীকে আর ভালোভাবে নিচ্ছেন না। মোদীর সঙ্গে বিরোধ শুরু হয়েছে আরএসএসের। কিন্তু তাঁরা মোদীকে কিছু বলতেও পারছেন না।’ থারুরের এই মন্তব্যের পরই শুরু হয়েছে বিতর্ক। কংগ্রেস সাংসদের বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বিজেপি।
রবিবার বেঙ্গালুরুতে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আরএসএস’কে টেনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কটাক্ষ করতে গিয়ে নয়া বিতর্ক উসকে দেন শশী থারুর। তিনি বলেন, ‘আরএসএসের এক নেতা এক সাংবাদিককে জানিয়েছেন, মোদী নাকি শিবলিঙ্গের উপর বসে থাকা সেই কাঁকড়া বিছের মতো, যাকে না হাত দিয়ে সরানো যায়, না যায় চটি দিয়ে আঘাত করা।’ থারুর জানান, ‘আরএসএস মোদীর ক্ষমতা খর্ব করতে চাইলেও তারা তা পারছে না। আরএসএস এখন না পারছে মোদীকে গিলতে, না পারছে ওগরাতে। আর সেই কারণেই আরএসএস মোদীকে নিয়ে হতাশ। থারুরের এই মন্তব্যের সঙ্গে সঙ্গেই তার তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
তবে শশী থারুর এতেই থামেননি। তিনি আরও বলেন, ‘বিজেপি এখন ব্যক্তি নির্ভর হয়ে গেছে, অর্থাৎ মোদী কেন্দ্রিক। এই ব্যক্তি কেন্দ্রীকতা সংঘের নীতির সঙ্গে মেলে না। প্রধানমন্ত্রীর এই ব্যক্তিগত ক্যারিশমা এই মুহূর্তে আরএসএসের মাথারা অনেকেই ভালোভাবে নিচ্ছেন না।’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপর লেখা তাঁর বই, ‘দ্য প্যারাডক্সিকাল প্রাইম মিনিস্টার’ প্রকাশের এক অনুষ্ঠানে এদিন শশী থারুর একথা বলেন।
শশী থারুরের এই মন্তব্য প্রকাশ্যে আসার পর শুরু হয়েছে বিতর্ক। অনেকে মনে করছেন, আরএসএস এবং মোদীর নেতৃত্বাধীন বিজেপির মধ্যে দূরত্ব বাড়াতে পরিকল্পিতভাবে ধীরে ধীরে এগোচ্ছে কংগ্রেস। থারুরের মন্তব্য তারই অঙ্গ। তবে শুধু আরএসএসকে নিয়ে নয়, বিজেপি অন্দরের গোপন কথাও এদিন বলেছেন থারুর। তাঁর দাবি, বিজেপির অনেক নেতাও মনে করেন যে, মোদীকে সরানো সহজ নয়। তাঁরাও মোদীকে নিয়ে বিরক্ত।
থারুরের এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছে বিজেপি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুরের এই মন্তব্য নিয়ে রাহুল গান্ধীর বিবৃতি দাবি করেছেন। বলেছেন, রাহুল নিজেকে শিবভক্ত বলে দাবি করেন, তাই থারুরের এই মন্তব্য তিনি কী চোখে দেখেন, তা তাঁকে বলতে হবে।
থারুরের এই মন্তব্য নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতেও অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাঁদের দাবি, শিবকে টেনে এরকম তুলনা করে হিন্দুদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করেছেন থারুর।

Comments are closed.