নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রতিবাদে সরব দেশে এক হাজার বিজ্ঞানী, সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ

বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, পাকিস্তানের শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার মানদণ্ড হিসেবে ধর্মকে ব্যবহার করা হচ্ছে। এমন অভিযোগ করে কেন্দ্রের নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরোধিতায় সরব হলেন দেশের এক হাজারেরও বেশি বিখ্যাত বিজ্ঞানী।
১০৪৩ জন বিজ্ঞানী ও গবেষকের স্বাক্ষরসম্বলিত এক লিখিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলে দেশের সংবিধানের ১৪ নম্বর অনুচ্ছেদ চূড়ান্তভাবে লঙ্ঘিত হয়েছে। সংবিধান প্রদত্ত সাধারণ মানুষের সমতার অধিকার খর্ব হয়েছে কেন্দ্রের এই বিলে। বিবৃতিতে এই বিলকে ‘গভীর উদ্বেগজনক’ আখ্যা দিয়ে তা দ্রুত প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁদের পরামর্শ, শরণার্থী ইস্যুকে পক্ষপাতমূলকভাবে না দেখে সঠিকভাবে সমস্যা সমাধানে এগোক কেন্দ্রীয় সরকার।
বিবৃতিতে বিজ্ঞানীরা বলেছেন, স্বাধীন ভারতের সংবিধান প্রত্যেক বিশ্বাসের মানুষকে সমান নজরে দেখার কথা বলে এসেছে। কিন্তু কেন্দ্রের সরকার এই সংশোধিত বিলে ধর্মকে ব্যবহার করে সেই নিরবচ্ছিন্ন ইতিহাসের ধারাকে ভাঙতে চাইছে। ছ’টি অ-মুসলিম সম্প্রদায়ের শরণার্থীকে এ দেশে নাগরিকত্ব দেওয়ার যে আইন আনতে সরকার অগ্রসর হয়েছে তার দৃঢ় সমালোচনা করা হয়েছে এই বিবৃতিতে। লেখা হয়েছে, আমরা এই ভেবেই ভীত যে, পরিকল্পিতভাবে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষকে এই বিল থেকে বাদ দিয়ে দেশের বহুত্ববাদী ধারাকে লঙ্ঘন করা হচ্ছে। তাই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলকে সমর্থন করলেও যে প্রক্রিয়ায় তা করা হচ্ছে তার কড়া নিন্দা করছি আমরা।
এই বিবৃতিতে সই করেছেন অতীশ দাভোলকর, সন্দীপ ত্রিবেদী, সিরাজ মিনওয়ালা, রাজেশ গোপাকুমার, অলোক লাদ্ধা, প্রণব কুমার, রাহুল বর্মণ, দেবরাজ চক্রবর্তী, সত্যজিত রথ, ঋত্বিক সরকার, শুভদীপ মণ্ডল, রাজেন্দ্রন নারায়ণ, এস শ্রীনিবাসন,
শশাঙ্ক পাটোলে, অশ্বিন ভি, পিয়ালি গাঙ্গুলি, সৌমাংশু চক্রবর্তী প্রমুখ।

Comments are closed.