রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারতের সাহায্য চাইলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার

মানবিকতার খাতিরে মায়ানমার থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু এখন বাংলাদেশ চাইছে মায়ানমারে ফিরে যান রোহিঙ্গারা। তাঁদের ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করুক সে দেশের সরকার। এবিষয়ে ভারতসহ আন্তর্জাতিক মঞ্চের সাহায্য চাইলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার শান্তিনিকেতনে বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ চায় এবিষয়ে মায়ানমারের সঙ্গে কথা বলুক ভারত। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী যখন এই বক্তব্য রাখছেন তখন মঞ্চে উপস্থিত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এর আগে শুক্রবার, শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দেন ভারত ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীও।

নরেন্দ্র মোদি বলেন, অতিথি নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হিসেবেই তিনি এখানে এসেছেন। বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত শান্তিনিকতনে আসতে পেরে তিনি গর্বিত। ২০২১ সালে, বিশ্বভারতীর শতবর্ষ উপলক্ষ্য, রবীন্দ্রনাথের আদর্শ মেনে জেলার ১০০টি গ্রামকে স্বনির্ভর করার পরামর্শও দেন আচার্য।
বাংলাদেশ ভবনের অনুষ্ঠানে, ১৯৯৯ সালে বিশ্বভারতীর সর্বোচ্চ সম্মান ‘দেশিকোত্তম’ পুরস্কারে সম্মানিত হওয়ার প্রসঙ্গ তুলে, ছোটবেলায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান কীভাবে রবীন্দ্রনাথের কবিতা আবৃত্তি করে শোনাতেন সেই স্মৃতিচারণাও করেন শেখ হাসিনা। অতীতে ও বর্তমানে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে ভারত যেভাবে বন্ধুর মতো বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছে সেজন্য ভারতের কাছে তাঁদের কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেন তিনি। শান্তিপূর্ণভাবে দু’দেশের ছিটমহল বিনিময় সম্পন্ন হওয়ায় ভারতীয় নেতৃত্বের প্রশংসাও করেন তিনি। আশা প্রকাশ করেন, বাকি সমস্যাগুলিও বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হবে।
এই অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ভবিষ্যতে দুই দেশের সম্পর্ক আরও মজবুত হবে বলে। শনিবার কাজি নজরুল ইসলামের জন্মদিন উপলক্ষ্যে আসানসোলের কাজি নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে সাম্মানিক ডিলিট উপাধি প্রদান করা হবে শেখ হাসিনাকে। শনিবার সন্ধ্যায় শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকেরও কর্মসূচি রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর।

Leave A Reply

Your email address will not be published.