ওমপ্রকাশ মিশ্র: রাজ্যপালের মন্তব্য অনভিপ্রেত! কলকাতা এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতি নিয়ে ধানকরের সমালোচনা

রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতে নয়া মোড়। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কাণ্ড দিয়ে জগদীপ ধানকরের সঙ্গে রাজ্যের যে সংঘাতের সূত্রপাত তাতে নতুন মাত্রা যোগ করেছিল রাজ্যপালের জেলা সফর। এবার কলকাতা এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্মান প্রাপ্তির পর রাজ্যপাল তথা দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ধানকরের রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে মন্তব্যকে অনভিপ্রেত বলে জানাল তৃণমূল।
সম্প্রতি এবিপি আনন্দ চ্যানেলে এক সাক্ষাৎকারে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার সমালোচনা করেছিলেন রাজ্যপাল। শুধু তাই নয়, রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাকে কটাক্ষও করেন তিনি। এরই প্রেক্ষিতে বুধবার তৃণমূল কংগ্রেসের এডুকেশন ফোরামের চেয়ারম্যান ওমপ্রকাশ মিশ্র রাজ্যপালের মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেন। মঙ্গলবারই কলকাতা এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির কথা সামনে আসে। আন্তর্জাতিক কিউ এস র‌্যাঙ্কিং-এ দেশের মধ্যে রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির নিরিখে প্রথম স্থান দখল করে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। দ্বিতীয় স্থানে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। এই স্বীকৃতির কথা উল্লেখ করে সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া ওমপ্রকাশ মিশ্র জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হিসেবে রাজ্যপাল শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে যে অসম্মানজন মন্তব্য করেছেন তা অনভিপ্রেত এবং অপ্রত্যাশিত।
এদিন তৃণমূল এডুকেশন ফোরামের পক্ষ থেকে ওমপ্রকাশ মিশ্র এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, রাজ্যপাল এ রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন, তার যোগ্য জবাব কলকাতা এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এই স্বীকৃতি। আচার্য হিসেবে তাঁর যেখানে এই ঘটনার প্রশংসা করা উচিত ছিল, তা না করে তিনি যে মন্তব্য করেছেন, তা দুর্ভাগ্যজনক। তাঁর মন্তব্য দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত সমস্ত মানুষকে ব্যাথিত করেছে।
রাজ্যপাল হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার দু’মাসের মধ্যেই সরকারের সঙ্গে একাধিক বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন জগদীপ ধানকর। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়র যাওয়াকে কেন্দ্র করে যে ঘটনা ঘটে, সেখান থেকে এই সংঘাতের সূত্রপাত। নিজে বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে বিজেপি সাংসদকে উদ্ধার করে আনেন রাজ্যপাল। তারপর শিলিগুড়িতে এবং সম্প্রতি দুই ২৪ পরগনায় প্রশাসনিক বৈঠক ডাকেন তিনি। কিন্তু তিন জেলাতেই তৃণমূলের পক্ষে কেউ উপস্থিত ছিলেন না। প্রশাসনের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তোলেন ধানকর। এরই মধ্যে রাজ্যপালকে কেন্দ্র সিআরপিএফ নিরাপত্তা দেওয়ার কথা ঘোষণা করলে, তাতে ক্ষুব্ধ হয় রাজ্য। সম্প্রতি এবিপি আনন্দ চ্যানেলে সাক্ষাৎকারে বিভিন্ন বিষয়ে রাজ্যের সমালোচনা করেন তিনি। এবার তৃণমূল এডুকেশন ফোরামের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে রাজ্যপালের ভূমিকার সমালোচনা করা হল।

Comments are closed.