পেগাসাস কাণ্ডে সংসদে অভিনব প্রতিবাদ, সাইকেলের পর দ্বিতীয় দিনেও নজর কাড়লো তৃণমূল

তৃণমূল সাংসদ দোলা সেন, মালা রায়, অর্পিতা ঘোষ, শান্তনু সেন প্রত্যেকের কানেই ফোন। সকলেই একসঙ্গে হ্যালো হ্যালো করছেন, এবং মাঝে দোলা সেন বলছেন আপনারা যা কথা বলছেন সব শুনতে পাচ্ছি, সব ফোনে নজরদারি চলছে। ফোনে আড়িপাতা বিতর্কে এভাবেই অভিনব কায়দায় প্রতিবাদ করল ঘাসফুল শিবির।

মঙ্গলবার সংসদ ভবনের বাইরে তৃণমূলের রাজ্যসভা ও লোকসভার সাংসদেরা পেগাসাস স্পাইওয়্যার কাণ্ডের প্রতিবাদে একত্রিত হন। প্রতিবাদে শামিল ছিলেন লোকসভার দলনেতা সুদীপ ব্যানার্জি, সাংসদ সৌগত রায়, মহুয়া মিত্র, প্রসূন ব্যানার্জি, ডেরেক ও’ব্রায়েন, সুখেন্দু শেখররা।

এদিন অভিনব কায়দায় প্রতিবাদের পাশাপাশি তৃণমূল সাংসদেরা এই ঘটনার জেরে মোদী-শাহ এর বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকে।

সোমবারই জানা যায়, একাধিক নেতা মন্ত্রী, সাংবাদিকদের পাশাপাশি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জির ফোনও ট্যাপ করেছিল ইজরায়েলি সংস্থা। আড়িপাতা হয়েছে ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরের ফোনেও। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরেই বিজেপির বিরুদ্ধে আরও সুর চরিয়েছে তৃণমূল। অভিষেক ব্যানার্জির ফোন কেন হ্যাক করা হল, তা নিয়েও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে জবাব চান সৌগত রায়। এই গোটা ঘটনার জন্য প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ইস্তফা দাবি করেছে তৃণমূল।

উল্লেখ্য গত রবিবার ফোনে আড়িপাতার ঘটনাটি প্রথম প্রকাশ্যে আনেন বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। এই ঘটনার জন্য ঘুরিয়ে মোদী সরকারকেই দায়ী করেছেন তিনি।

চলতি বাদল অধিবেশনে মূল্য বৃদ্ধি, করোনা মোকাবিলা সহ একাধিক বিষয় নিয়ে বিরোধীরা যে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সংসদে সরব হবে তা একপ্রকার স্পষ্ট ছিল। পর্যবেক্ষকদের মতে এসবের মধ্যেই পেগাসাস স্পাইওয়্যার বিতর্কের জেরে বেশকিছুটা কোনঠাসা মোদী সরকার।

Comments are closed.