কল্যাণ ব্যানার্জি: সমাজবিরোধী কাজে যুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগ আছে ধনখড়ের, মামলা দায়ের করুক কলকাতা পুলিশ
চরমে দ্বন্দ্ব। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করতে কলকাতা পুলিশকে আবেদন করল তৃণমূল। রাজ্যের শাসক দলের সাংসদ তথা আইনজীবী কল্যাণ ব্যানার্জির দাবি, ট্যুইটের মাধ্যমে পুলিশি তদন্তে বাধা দিচ্ছেন রাজ্যপাল। এজন্য ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮৬ ও ১৮৯ ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য কলকাতা পুলিশের কাছে আবেদন রেখেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক থেকে কল্যাণের আরও দাবি, আর এক মিনিটের জন্যেও রাজ্যপালের আসনে বসার অধিকার নেই ধনখড়ের। এ ব্যাপারে রাষ্ট্রপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। শ্রীরামপুরের সাংসদের দাবি ইডির দায়ের করা এফআইআরের ভিত্তিতে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তাহলে গ্রেফতারি নিয়ে প্রশ্ন তুলে আসলে রাজ্যপাল কার বিরোধিতা করছেন?
কী নিয়ে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে এই বিস্ফোরক দাবি কল্যাণের?
কিছুদিন আগে ভুয়ো চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টের পরিচয় দিয়ে বেআইনি কার্যকলাপ চালানোর অভিযোগে গোবিন্দ আগরওয়াল নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই গ্রেফতারি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে ট্যুইট করেছিলেন রাজ্যপাল। তাঁর অভিযোগ, রাজনৈতিক কারণে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ এক চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টকে গ্রেফতার করেছে। এছাড়াও আর্থিক কেলেঙ্কারিতে আর এক অভিযুক্ত সুদীপ্ত রায়চৌধুরীর গ্রেফতারি নিয়েও রাজ্য প্রশাসনকে ট্যুইটারে নিশানা করেছিলেন রাজ্যপাল।
এই নিয়ে তৃণমূল সাংসদ তথা আইনজীবী কল্যাণ ব্যানার্জির চাঞ্চল্যকর দাবি, সমাজবিরোধী কাজে যুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে ধনখড়ের। তাদের আড়াল করতে সাংবিধানিক পদে বসেও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। আইনের বই হাতে নিয়ে কল্যাণ দাবি করেন, ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮৬ ও ১৮৯ ধারা অনুযায়ী সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার জন্য রাজ্যপালের বিরুদ্ধে মামলা হতে পারে। এই ধারায় অপরাধীর জেল ও জরিমানা দুই হতে পারে। এবং রাজ্যপালের বিরুদ্ধে এই ধারায় মামলা দায়ের করতে কোনও অনুমতির প্রয়োজন নেই বলে দাবি করেন আইনজীবী-সাংসদ।
শেষে কল্যাণ ব্যানার্জি বলেন, পরবর্তীতে রাজ্যপালের উপর থেকে দ্বিতীয় পর্যায়ের পর্দা উন্মোচন করা হবে।