রুশ, মার্কিন এবং চিনের পর এবার কি মহাকাশে ভারতের নভোশ্চর?

রুশ, মার্কিন ও চিনের পর এবার প্রযুক্তিগত ভাবে মহাকাশে মানব অভিযানে প্রস্তুত ভারত। সম্প্রতি ‘কল্পনা চাওলা স্পেস ডায়ালগ’ বৈঠকে এমনটাই দাবি করলেন ইসরোর বিজ্ঞানী প্রফেসর বি.এন.সুরেশ। তিনি জানান, ‘এই মুহূর্তে ইসরো ভারী ‘লঞ্চিং ভেহিকেল’ এবং ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিন নিয়ে সফলভাবে কাজ করেছে। এইগুলিই আগামী দিনে ভারতকে মহাকাশে মানব অভিযানে সাহায্য করবে’। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, মহাকাশে মানব অভিযানের জন্য সরকারের থেকে সবুজ সঙ্কেত পাওয়া সময়ের অপেক্ষা। তিন দিনের এই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনীর পদস্থ কর্তা থেকে নীতি আয়োগের সদস্যরা এবং মহাকাশ গবেষণার সঙ্গে জড়িত একাধিক গবেষক। ইসরোর মহাকাশে মানব-অভিযানের পাশাপাশি আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আলোচনায় ছিল ‘মিলিটারাইজেশন ইন স্পেস’। জেনারেল শর্মা জানান,মহাকাশে সামরিকীকরন অত্যন্ত বিপজ্জনক। বর্তমানে শক্তিধর দেশগুলির মধ্যে এই প্রবনতা প্রবল। ভারতকে এই বিষয়ে সক্রিয় এবং ইতিবাচক ভুমিকা নিতে হবে। ব্যাঙ্ক অব আমেরিকা ও মেরিল লিঞ্চ সুত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে গোটা বিশ্বে ৩৮০ বিলিয়ন ডলারের মহাকাশ বাণিজ্যের মধ্যে ভারতের মহাকাশ বাণিজ্যের পরিমাণ ৪০ বিলিয়ন ডলার। মহাকাশ বাণিজ্যের ৪০ শতাংশের ওপর দখল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। যা আগামী দুই দশকে বেড়ে দাঁড়াবে প্রায় তিন ট্রিলিয়ন ডলারে। ২০১৪ সালের মঙ্গল অভিযান এবং ২০১৬ তে ১০৪ টি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের মতো সফল অভিযানের পর বিশ্বব্যাপী যথেষ্ট প্রশংসা কুড়িয়েছে ইসরো

Leave A Reply

Your email address will not be published.