স্কুটির দাম ১৫ হাজার, আর ট্রাফিক আইন ভেঙে জরিমানা হল ২৩ হাজার টাকা! মাথায় হাত দিল্লির দীনেশ মদনের।

১ লা সেপ্টেম্বর থেকে চালু হয়েছে সংশোধিত মোটর ভেহিকেল অ্যাক্ট। এখন ট্র্যাফিক আইন ভাঙলেই কড়া শাস্তির মুখে পড়ছেন গাড়ি চালকরা। কিন্তু আইন ভেঙে জরিমানা দিতে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ হল দিল্লির দীনেশ মদনের।
অভিযোগ, হেলমেট ছাড়াই গুরুগ্রামের রাস্তা দিয়ে স্কুটি চালিয়ে যাচ্ছিলেন দীনেশ মদন নামে ওই ব্যক্তি। তাঁকে আটকান কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ। দীনেশ মদনের কথায়, তাঁর মাথায় হেলমেট ছিল না, সঙ্গে ছিল না রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটও। কাগজপত্র দেখাতে না পারায় ওই ট্রাফিক পুলিশ তাঁর কাছে স্কুটির চাবি চান। তিনি তা দিতে অস্বীকার করায় ২৩ হাজার টাকার চালান কাটেন ওই ট্রাফিক পুলিশকর্মী। অন্যদিকে, ওই ট্রাফিক পুলিশ কর্মী জানিয়েছেন, চালকের মাথায় হেলমেট ছিল না, রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট, গাড়ির বিমা, দূষণের কাগজ ও ড্রাইভিং লাইসেন্সও মেলেনি। সবই নাকি তিনি বাড়িতে রেখে বেরিয়েছেন। যার ফলে নতুন ট্রাফিক আইন অনুযায়ী, ড্রাইভিং লাইসেন্স ও রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট ছাড়া গাড়ি চালানোর জন্য ৫ হাজার টাকা করে, বিমার কাগজপত্র না থাকার জন্য ২ হাজার টাকা, দূষণ সংক্রান্ত আইন ভাঙার জন্য ১০ হাজার টাকা ও বিনা হেলমেটে স্কুটি চালানোর আরও ১ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করা হয়েছে দীনেশ মদনকে।
আর এতেই কার্যত মাথায় হাত পড়েছে দীনেশ মদনের। তাঁর দাবি, স্কুটির দাম যেখানে ১৫ হাজার, সেখানে চালান কাটা হয়েছে ২৩ হাজার টাকা!
নিজের দোষ স্বীকার করলেও দীনেশ মদনের অভিযোগ, তাঁর বাড়ি থেকে হোয়াটসঅ্যাপ করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র চেয়ে পাঠিয়েছিলেন, কিন্তু তার আগেই চালান কেটে ফেলেন কর্তব্যরত পুলিশ কর্মী। না হলে জরিমানার অঙ্ক কম হত বলে দাবি দীনেশের। তবে এবার থেকে স্কুটি নিয়ে বেরনোর সময় সমস্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঙ্গেই রাখবেন বলে জানিয়েছেন দীনেশ মদন।

Comments are closed.