ত্রিপুরা হাইকোর্ট: সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপিকে বেআইনিভাবে দখল করা সরকারি সম্পত্তির হিসেব দিতে নির্দেশ

সিপিএম, বিজেপি এবং কংগ্রেসকে বেআইনিভাবে তাদের দখল করা সরকারি সম্পত্তির হিসেব হলফনামা আকারে জমা দিতে হবে। জনস্বার্থ মামলায় তাৎপর্যপূর্ণ নির্দেশ ত্রিপুরা হাইকোর্টের। এই সংক্রান্ত সমস্ত মামলার খতিয়ানও জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ত্রিপুরা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জয় কারোল এবং বিচারপতি অরিন্দম লোধের বেঞ্চ।

ত্রিপুরার বিশালগড় সাব ডিভিশনে সিপিএম, কংগ্রেস এবং বিজেপি, এই তিনটি জাতীয় রাজনৈতিক দলের দখলে রয়েছে এমন ২৪ টি সম্পত্তি। তা আদালতের নজরে আসার পরই এবিষয়ে স্বতঃপ্রণোদিত জনস্বার্থ মামলা শুরু করে ত্রিপুরা হাইকোর্ট।

ত্রিপুরায় বিভিন্ন সরকারি সম্পত্তি দখল করে রেখেছে রাজনৈতিক দলগুলো। এই অভিযোগ আজকের নয়। বিভিন্ন সময় রাস্তার অংশ দখল করে পার্টি অফিস কিংবা দলের কোনও কাজে লাগানোর ঘটনায় একইভাবে অভিযোগ আঙুল উঠছে বর্তমানে ত্রিপুরার শাসক দল বিজেপি, বিরোধী সিপিএম বা কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি এবিষয়ে হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। তারপরই স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে আদালত। সেই মামলাতেই এবার ৩ টি রাজনৈতিক দলকেই বেআইনিভাবে তাদের দখলে থাকা সরকারি সম্পত্তি, যা বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস নিজেদের বলে দাবি করে, তার খতিয়ান জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

পাশাপাশি ত্রিপুরা সরকারের রাজস্ব সচিবকেও এবিষয়ে পৃথক হলফনামা জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। সেই হলফনামায় এই ৩ রাজনৈতিক দল রাজ্যের কোথায় কোথায় বেআইনিভাবে দখল কিংবা দখল করা জমিতে নির্মাণ কাজ চলছে, তা বিস্তারিতভাবে জানাতে বলেছে আদালত।

ত্রিপুরা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি তাঁর পর্যবেক্ষণে জানিয়েছেন, সিপিএম, কংগ্রেস এবং বিজেপির বিরুদ্ধে যেভাবে সরকারি সম্পত্তি দখলের অভিযোগ রয়েছে, তা ঠিক না ভুল, সে বিচার করুন নির্বাচকমণ্ডলী। কিন্তু সরকারি সম্পত্তির এমন অপব্যবহারের অভিযোগ যখন উঠছে, তা খতিয়ে দেখা আদালতের কর্তব্য। এরপরই আদালত জানিয়ে দেয়, স্বতঃপ্রণোদিত মামলাকে জনস্বার্থ মামলা হিসেবে চিহ্নিত করে ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি হবে। সেখানেই বিজেপি, কংগ্রেস এবং সিপিএমকে কারণ দর্শানোরও নির্দেশ দেওয়া হয়।

Comments are closed.