হুমকির সন্মুখীন হচ্ছেন উন্নাও ধর্ষণের নির্যাতিতা, আদালতে জানাল সিবিআই

সর্বোচ্চ পর্যায়ের হুমকির মুখোমুখি হচ্ছেন উন্নাও কাণ্ডের নির্যাতিতা, দিল্লিতে বিশেষ আদালতকে জানাল সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার রিপোর্টের ভিত্তিতে উত্তর প্রদেশ সরকারকে নির্দেশিকা পাঠাল আদালত।
২০১৭ সালে ধর্ষণ কাণ্ডে নাম জড়িয়েছিল উত্তর প্রদেশের উন্নাওয়ের বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সেঙ্গারের। গত জুলাই মাসে রায়বেরিলি যাওয়ার পথে ভয়াবহ গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়েন উন্নাওয়ের সেই নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবার। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় তাঁর ২ আত্মীয়ার। গুরুতর আহত হওয়া নির্যাতিতা এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সেই দুর্ঘটনার পেছনেও কুলদীপ সেঙ্গারের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করে নির্যাতিতার পরিবার। এরপর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মামলার তদন্তভার নেয় সিবিআই। বুধবার এই মামলায় বিশেষ আদালতকে দেওয়া এক রিপোর্টে সিবিআই জানিয়েছে, সর্বোচ্চ পর্যায়ের হুমকির সম্মুখীন হতে হচ্ছে উন্নাওয়ের নির্যাতিতাকে। এই রিপোর্টের ভিত্তিতে বিশেষ আদালতের নির্দেশ, কীভাবে রাজ্যের ভেতরে বা কোনও আত্মীয়ের বাড়িতে নির্যাতিতার পরিবারকে স্থানান্তর করা যায়, সে বিষয়ে রিপোর্ট জমা দিক উত্তর প্রদেশ সরকার।
সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে বিশেষ আদালতে জানানো হয়, যেভাবে নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবার হুমকির মুখোমুখি হচ্ছেন, তাতে তাঁদের উপযুক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা উচিত। এই প্রেক্ষিতে উত্তর প্রদেশ সরকারকে একটি নোটিস পাঠিয়েছেন বিচারপতি ধর্মেশ শর্মা। নির্যাতিতার মা, দুই বোন ও ভাইকে কোনও নিরাপদ স্থানে পাঠানোর ব্যাপারে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছি কিনা এক সপ্তাহের মধ্যে সেই রিপোর্ট তলব করা হয়েছে।
চলতি মাসের গোড়াতেই দিল্লির এইমসে গিয়ে নির্যাতিতার জবানবন্দি নিয়েছেন এক বিচারক। এমনকী জেল থেকে এনে অভিযুক্ত বহিষ্কৃত বিজেপি বিধায়ককেও ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
গত ৪ ঠা জুলাই গাড়ি দুর্ঘটনার আগে নিরাপত্তার আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈকে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন নির্যাতিতা। এই দুর্ঘটনার পর সেই চিঠি হাতে পান প্রধান বিচারপতি। এরপর গত ১ লা অগাস্ট উন্নাও ধর্ষণ মামলার সঙ্গে যুক্ত ৫ টি মামলা উত্তর প্রদেশ থেকে দিল্লিতে স্থানান্তরের নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সেই সঙ্গে দিল্লির বিশেষ আদালতে মামলার দৈনিক শুনানির ভিত্তিতে ৪৫ দিনের মধ্যে বিচার প্রক্রিয়া শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

Comments are closed.