বরাতের দৌড়ে চিনা সংস্থা, সেমি হাই স্পিড বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের টেন্ডার বাতিল রেলের

ভারত-চিন দ্বৈরথের আবহে এবার ‘বয়কট চিন’ নীতি নিল ভারতীয় রেল। চিন এবং ভারতের যৌথ মালিকানাধীন একটি সংস্থা সেমি হাই স্পিড ট্রেন তৈরির বরাত পাওয়ার জন্য আবেদন করায় পুরো টেন্ডারই বাতিল করে দিল ভারতীয় রেল। যা চিনের উদ্দেশে স্পষ্ট বার্তা বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

গালওয়ান উপত্যকায় ভারত-চিনের সীমান্ত যুদ্ধ এবং তার প্রেক্ষিতে টিকটক, শেয়ারইট সহ ৫৯ টি চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করে দিয়েছে ভারত। আনা হয়েছে বৈদেশিক বাণিজ্যে কড়াকড়ি। এখন কেন্দ্রের তরফে সমস্ত চিনা বিনিয়োগ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এদিকে যে ৪৪ টি সেমি হাই স্পিড বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের জন্য টেন্ডার ডেকেছিল ভারতীয় রেল, তাতে  দরপত্র জমা দেয় সিআরআরসি পাইওনিয়র ইলেক্ট্রিক (ইন্ডিয়া) প্রাইভেট লিমিটেড নামের একটি সংস্থা। সংস্থাটি ভারত ও চিনের যৌথ মালিকানাধীন। যে ৬ টি সংস্থা নিলামে অংশ নিয়েছিল তাতে একমাত্র বিদেশি সংস্থা হিসেবে ছিল এই সিআরআরসি ইয়ংজি প্রাইভেট লিমিটেড। সূত্রের খবর, পুরো প্রকল্পটির অর্থমূল্য প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা।

শুক্রবার রাতে রেলের তরফে ট্যুইট করে এই টেন্ডার বাতিলের কথা ঘোষণা করা হয়। ঠিক কী কারণে এই টেন্ডার বাতিল হয়েছে তা অবশ্য স্পষ্ট করেনি রেল। তবে চিনা সংস্থা এই বরাত পাওয়ার দৌড়ে এগিয়ে থাকার কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

রেল জানিয়েছে, এক সপ্তাহের মধ্যে এই ৪৪ টি সেমি হাই স্পিড ট্রেনের জন্য ফের দরপত্র আহ্বান করা হবে। এবং তাতে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’য় জোর দেওয়া হবে। দেশীয় সংস্থার মুনাফা বাড়াতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে রেল।

বন্দে ভারত প্রকল্পে আরও পাঁচটি সংস্থা নিলামে অংশ নিয়েছিল। তার মধ্যে রয়েছে ভারত হেভি ইলেকট্রিক্যালস লিমিটেড, ভারত ইন্ডাস্ট্রিজ, মেধা সেরভো ড্রাইভস প্রাইভেট লিমিটেডের মতো সংস্থা।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গত বছর ১৫ ফেব্রুয়ারি দিল্লি-বারাণসী রুটে প্রথম বন্দে ভারত ট্রেন চলাচলের সূচনা করেন। এরপর গত বছরের ৩ অক্টোবর দিল্লি এবং শ্রীমাতা বৈষ্ণোদেবী কাটারার মধ্যে দ্বিতীয় ট্রেনটির সূচনা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

Comments are closed.