WHO: করোনা সম্ভবত কখনওই যাবে না, ভাইরাসকে নিয়েই বাঁচতে হবে

কিছুদিন আগেই আইসিএমআর জানিয়েছিল, করোনাভাইরাসের সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে উঠতে হবে। প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছিলেন, ভাইরাস সহজে যাওয়ার নয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিও বলেছিলেন, ভাইরাস থাকবে, কিন্তু তার মধ্যেই জীবন স্বাভাবিক খাতে ফেরাতে হবে। বুধবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু জানাল, করোনাভাইরাস সম্ভবত কখনও যাবে না। ভাইরাসকে নিয়েই বাঁচা শিখতে হবে আমাদের।
দুনিয়ার বেশ কিছু দেশ যখন অর্থনীতির স্বার্থে আংশিক লকডাউন তুলে স্বাভাবিক কাজকর্ম শুরু করার কথা ভাবছে, কিছু দেশে শুরুও হয়ে গিয়েছে, সেই সময় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়ে দিল, এই ভাইরাসটি আমাদের সমাজেই থেকে যেতে পারে। ঠিক যেমন এইচআইভি। কিন্তু আমাদের একে নিয়েই বেঁচে থাকা অভ্যাস করতে হবে। বলছেন হুর ইমার্জেন্সিস এক্সপার্ট মাইক রায়ান।
তিনি বলেন, আমার মনে হয় এই মুহূর্তে বাস্তব পরিস্থিতি মেনে নেওয়া ছাড়া উপায় নেই। কেউই এটা বলতে পারবেন না কবে এই রোগ উধাও হবে। এমন কোনও প্রতিশ্রুতি কিংবা তারিখ বলা সম্ভব নয়। তাই এই রোগটি আমাদের সঙ্গে থাকবে, এটা ধরে নেওয়াই বাস্তবিক।
ভ্যাকসিন নিয়ে হু কী বলছে?
বিশ্বের শতাধিক গবেষণাগারে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরির চেষ্টায় বুঁদ গবেষক, বিজ্ঞানীরা। তার মধ্যে বেশ কিছু ক্ষেত্রে ক্লিনিকাল ট্রায়ালও শুরু হয়ে গিয়েছে। তাহলে কি প্রতিষেধক পাওয়া স্রেফ সময়ের অপেক্ষা? হু বলছে, ভ্যাকসিন এলেই কি রোগের মৃত্যু হবে? মাইক রায়ানের পাল্টা প্রশ্ন, হামের ভ্যাকসিন আছে। কিন্তু তাও কি মানুষের হাম হয় না? অর্থাৎ, প্রতিষেধক বেরোলেই যে রাতারাতি করোনা ভ্যানিশ হবে, তেমনটা মোটেই না।
তাহলে কী উপায়?
উত্তর দিচ্ছেন হুয়ের ডিরেক্টর জেনারেল টেডরস আঢানম ঘেব্রেয়েসাস। তিনি বলছেন, বাঁচার উপায় আছে আমাদের হাতে। ন্যূনতম সাবধানতা অবলম্বন করলেই ঘায়েল হবে অতিমারি। বিভিন্ন দেশ এই সূত্রে বিভিন্ন উপায় পরখ করে দেখছে। লকডাউন আংশিক তুলে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ফেরানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু আমাদের পরামর্শ হল, প্রতিটি দেশকে এখনও হাই অ্যালার্ট থাকতে হবে।

গত জানুয়ারি মাস থেকে বিশ্বের অর্ধেক জনসংখ্যা কোনও না কোনওভাবে লকডাউনে বন্দি। গোটা বিশ্বেই অর্থনীতির চাকাকে আবার ঘোরানোর ফর্মুলা খোঁজা চলছে। কোথাও আংশিক লকডাউন শিথিল করে আবার কোথাও কনটেইনমেন্ট জোন বেছে বাকি অংশকে স্বাভাবিক করার প্রয়াস চলছে। এর মধ্যেই গোটা বিশ্বে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন প্রায় ৪৫ লক্ষ মানুষ। মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৩ লাখের। এমন একটা সময় মারণ ভাইরাস নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার।

Comments are closed.