‘রামায়ণ, মহাভারতেও রয়েছে হিংসার বর্ণনা’, প্রজ্ঞা ঠাকুরকে কটাক্ষ করে মন্তব্য ইয়েচুরির, শুরু বিতর্ক

হিন্দুরা হিংসা করে না, মন্তব্য করেছিলেন মালেগাঁও বিস্ফোরণের অন্যতম অভিযুক্ত এবং বিজেপি প্রার্থী প্রজ্ঞা সিংহ ঠাকুর। রামায়ণ, মহাভারতের উদাহরণ টেনে জবাব দিলেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক।
হিন্দু মহাকাব্যেও রয়েছে হিংসার বর্ণনা, তাই হিন্দু মানেই অহিংস এই তত্ত্ব ধোপে টেকে না, ভোপালে বিজেপির বিতর্কিত প্রার্থী প্রজ্ঞা সিংহ ঠাকুরকে কটাক্ষ করে মন্তব্য করলেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি।

বৃহস্পতিবার ভোপালের একটি সভা থেকে সীতারাম ইয়েচুরি মন্তব্য করেন, প্রজ্ঞা সিংহ ঠাকুর বলেছেন, হিন্দুরা হিংসায় বিশ্বাসী নন। কিন্তু হিন্দুদের দুই মহাকাব্য রামায়ণ এবং মহাভারতে আছে হিংসা ও যুদ্ধের বর্ণনা। সিপিএমের সাধারণ সম্পাদকের কটাক্ষ, হিন্দুত্ববাদীরা বিভিন্ন সময় রামায়ণ ও মহাভারত থেকে উদাহরণ টানেন, কিন্তু এই দুই মহাকাব্যে যে হিংসার বর্ণনা রয়েছে, তা তাঁরা এড়িয়ে যান।
কোনও একটি নির্দিষ্ট ধর্মের মানুষই কেবল হিংসায় জড়িত থাকেন এই যুক্তি উড়িয়ে দিয়ে ইয়েচুরি বলেন, হিন্দু মানেই অহিংসায় বিশ্বাসী, কোনওভাবেই এই লজিক খাটে না। ভোপালের সভা থেকে কলিঙ্গ যুদ্ধের তুলনা টেনে সিপিএম সাধারণ সম্পাদক বলেন, সম্রাট অশোকও যুদ্ধের নৃশংসতা উপলব্ধি করে বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করেন।
এরপরেই বিজেপি ও আরএসএসের হিন্দুত্ববাদের তীব্র সমালোচনা করে ইয়েচুরি বলেন, গো-হত্যা ঠেকানোর জন্য প্রাইভেট আর্মি তৈরি করেছে আরএসএস।
সীতারাম ইয়েচুরির এই মন্তব্যের পর শুরু হয়েছে বিতর্ক। তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছে বিজেপি ও হিন্দুত্ববাদী দলগুলি।
শিবসেনার মুখপাত্র সঞ্জয় রাউতের অভিযোগ, নিজেকে ধর্মনিরপেক্ষ প্রমাণ করতে হিন্দুদের আক্রমণ করেছেন সিপিএম সাধারণ সম্পাদক। তাঁর কটাক্ষ, সীতারাম ইয়েচুরি ও সিপিআই প্রার্থী কানহাইয়া কুমারের উচিত নিজেদের নাম পরিবর্তন করে নেওয়া। কারণ দু’জনের নামই হিন্দু দেবতার নামের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।

Comments are closed.