লোকসভা ভোটের ফলাফলে গরমিল? অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টে মামলা এডিআর ও কমন কজের

লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশের পরে বিরোধী একাধিক রাজনৈতিক দলের তরফে অভিযোগ করা হয়েছিল, ভোটের ফলাফলে কারচুপি করা হয়েছে। এবার প্রদত্ত ভোটের সঙ্গে ইলেকশন কমিশনের তরফে ঘোষিত বিভিন্ন প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোটের যে হিসাব দেওয়া হয়েছে তাতে গরমিল রয়েছে, এই অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করল অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস বা এডিআর (ADR Moves To Supreme Court) এবং কমন কজ নামে দুই সংস্থা। জানা গিয়েছে, এই আবেদনের প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের আবেদনের সঙ্গে এই আবেদন জুড়ে দিতে। উল্লেখ্য, এর আগে লোকসভা ভোটে গরমিলের অভিযোগ তুলে মামলা করেছিলেন মহুয়া মৈত্র। তাঁর দাবি ছিল, কত মানুষ ভোট দিয়েছেন এবং কত ভোট গণনা হয়েছে সেই তথ্য মিলিয়ে দেখতে হবে।
এডিআর (ADR Moves To Supreme Court) ও কমন কজের আবেদনে বলা হয়েছে, নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় জটিলতা এবং অনিয়মের ফলে যাতে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা এবং সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন বাধাপ্রাপ্ত না হয় তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। ভারতীয় সংবিধানের আর্টিকেল ১৪, ১৯ এবং ২১ নম্বর  ধারা উল্লেখ করে নাগরিক অধিকারের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে এডিআর। তবে এই আবেদনে এডিআর ও কমন কজের তরফে বলা হয়েছে, ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলকে তারা চ্যালেঞ্জ করছে না। তারা শুধু চাইছে যাবতীয় তথ্য সামনে আনুক ইলেকশন কমিশন। জানা গিয়েছে, এডিআর ও কিছু বিশেষজ্ঞের বিশ্লেষনে উঠে এসেছে, বেশ কিছু ক্ষেত্রে প্রদত্ত ভোটের সঙ্গে প্রার্থীদের প্রাপ্ত ভোট মিলছে না। জানা গিয়েছে, ৫৪২ টি লোকসভা আসনের মধ্যে ৩৪৭ টি লোকসভা আসনে এরকম গরমিল ধরা পড়েছে। কোথাও একটি অথবা কোথাও এক লাখেরও বেশি ভোটের গরমিল ধরা পড়েছে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, প্রদত্ত ভোটের সঙ্গে প্রার্থীদের প্রাপ্ত ভোট ও জয়ের ব্যবধানের কোনও মিল পাওয়া যাচ্ছে না।
তবে এডিআর জানিয়েছে, কোনও একটি নির্দিষ্ট দলের পক্ষে নয়, বিভিন্ন দলের প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এই গরমিল ধরা পড়েছে। তবে ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করা হচ্ছে না বলেও জানানো হয়েছে আবেদনে। বলা হয়েছে, ভোটের পর নির্বাচন কমিশনের তরফে বলা হয়েছিল যাবতীয় তথ্য ওয়েবসাইটে দিয়ে দেওয়া হবে, কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেই তথ্য দেওয়া হয়নি।

Comments are closed.