নাগরিক না হলে মতুয়ারা মন্ত্রী, সাংসদ কীভাবে? সংসদে প্রশ্ন ডেরেকের

মন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছিলেন, সংসদের কার্যকলাপ থেকে স্পষ্ট বাংলায় ভোটের আগে সিএএ নিয়ে কোনও ভাবনা নেই কেন্দ্রের

বৃহস্পতিবার সংসদে তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন নাগরিকত্ব আইন নিয়ে কটাক্ষ করেন কেন্দ্রীয় সরকারকে। ডেরেকের প্রশ্ন ‘নাগরিক না হলে মতুয়ারা মন্ত্রী, সাংসদ কীভাবে?’

সম্প্রতি বনগাঁর ঠাকুরনগরে সভা ছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। কথা ছিল, সভা থেকে মতুয়াদের নাগরিকত্ব দেওয়ার বিষয়ে আশ্বাস দেবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী। কিন্তু দু’বার সভা ঘোষণা করেও শেষ পর্যন্ত মতুয়া পাড়ায় আসা হয়নি শাহের।

ফলে ক্ষোভ বাড়ছে মতুয়া পাড়ায়। বিজেপিকে খোঁচা দিতে ছাড়েনি তৃণমূলও। বুধবার তৃণমূল নেতা তথা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানান, সংসদের কার্যকলাপ থেকে স্পষ্ট বাংলায় ভোটের আগে সিএএ নিয়ে কোনও ভাবনা নেই কেন্দ্রের। এই প্রেক্ষিতে অমিত শাহ মতুয়াদের কী বলেন তা শুনতে আগ্রহী আমরাও, জানিয়েছিলেন ব্রাত্য বসু। তৃণমূলের প্রশ্ন যদি পাট্টার কাগজ, ভোটার কার্ড প্রভৃতি নাগরিকত্বের প্রমাণ না হয় তাহলে এতদিন মতুয়ারা দেশে কী বেআইনিভাবে রয়েছেন?

[আরও পড়ুন- LPG Price Hike: বাজেটের পরেই ২৫ টাকা বাড়ল ভর্তুকিহীন রান্নার গ্যাসের দাম]

তৃণমূল একাধিকবার দাবি করেছে মতুয়ারা ভারতের নাগরিক। মতুয়ারা নাগরিক না হলে তাঁরা জনপ্রতিনিধি হন কীভাবে? এই প্রশ্ন বারেবারে তুলেছে তৃণমূল। এবার তা পৌঁছে গেল সংসদে। নাগরিকত্ব আইনের পাশাপাশি এদিন তিন বিতর্কিত কৃষি আইন নিয়েও কেন্দ্রকে একহাত নেন ডেরেক। দিল্লির উপকণ্ঠে কৃষক আন্দোলন নিয়ে আন্তর্জাতিক তারকাদের করা ট্যুইট নিয়ে বিজেপিকে কটাক্ষ করেন তিনি। রিহানা, গ্রেটা থুনবার্গের ট্যুইটের কড়া সমালোচনা করেছে কেন্দ্র। এই প্রসঙ্গে ডেরেকের খোঁচা, ‘কৃষক বিক্ষোভ নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের প্রতিক্রিয়ায় এখন আমরা স্পর্শকাতর হয়ে উঠছি। কিন্তু কে বলেছিলেন ‘আব কি বার ট্রাম্প সরকার’? আর এখন আমরা বলছি অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ!’

শিয়রে একুশের বিধানসভা ভোট। বাংলাকে পাখির চোখ করেছে গেরুয়া শিবির। অমিত শাহ, জেপি নাড্ডারা বার বার রাজ্য সফরে আসছেন। কৃষকের বাড়ি থেকে শস্য ভিক্ষা করছেন, খাওয়াদাওয়া সারছেন।

তা নিয়ে শুরুতেই সরব হয়েছিল তৃণমূল। দিল্লিতে প্রবল ঠান্ডায় যখন কৃষকরা আন্দোলন করছেন তখন বাংলায় এসে শাহ-নাড্ডার কৃষক-রাজনীতিতে ক্ষুব্ধ হয়েছিল সিপিএম-কংগ্রেসও। এবার সেই সুরই উঠে এলো সংসদের ভিতরে। কেন্দ্রকে আক্রমণ করে ডেরেক বলেন, কৃষক আন্দোলন দমনের ঘটনা যদি দিল্লির বদলে বাংলা বা মহারাষ্ট্রতে ঘটত তাহলে কী কেন্দ্রের একই মনোভাব বজায় থাকত? ডেরেকের কটাক্ষ, আগে দিল্লি সামলান, তারপর বাংলার কথা ভাববেন।

Comments are closed.