২৫ মে চার বছর পূর্ণ করেছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার। চার বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে সরকারের সাফল্যকে তুলে ধরে ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় জোরদার প্রচার শুরু করেছে বিজেপি। ‘সাফ নিয়াত, সহি বিকাশ’ স্লোগান তুলে বিগত চার বছরে কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বিজেপি সরকারের বিভিন্ন কাজকর্মের খতিয়ান সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। তৈরি করা হয়েছে বিশেষ ভিডিও। তবে বিজেপি যতই নিজেদের সাফল্যের বড়াই করুক না কেন, সরকারকে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়তে নারাজ বিরোধীরা। সরকারের ব্যর্থতা তুলে ধরে ট্যুইট করেছেন রাহুল গান্ধী। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের সমালোচনায় সরব হয়েছে বিভিন্ন আঞ্চলিক দলগুলিও। বিজেপি সরকারের আমলে কোনও উন্নতি তো হয়ইনি, বরং কেন্দ্রের সরকার বিভাজনের রাজনীতি করছে বলে রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে অভিযোগ করেছেন সিপিএম সাংসদ মহম্মদ সেলিম।
বিজেপি এবং সরকারের দাবি, গত চার বছরে ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে দেশের। কৃষি থেকে স্বাস্থ্য, পরিকাঠামো উন্নয়ন থেকে জীবনের মানোন্নয়ণ, রেলের নিরাপত্তা থেকে বিমান পরিষেবা, অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মীদের পেনশন বৃদ্ধি থেকে গরিব মহিলাদের গ্যাসের সংযোগ দেওয়া, মুদ্রা লোন থেকে মেক ইন ইন্ডিয়া, বিগত চার বছরে সর্বত্র চোখে পড়েছে পরিবর্তন। তাঁর নেতৃত্বে সরকারের চার বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী নিজে ট্যুইট করে জানিয়েছেন, গত চার বছরে দেশজুড়ে উন্নয়নমূলক কাজকর্ম গণ আন্দোলনের চেহারা নিয়েছে এবং তাতে দেশের ১২৫ কোটি মানুষ অংশ নিয়েছেন। বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চিত সমাজের দরিদ্র, অবহেলিত, পিছিয়ে পড়া মানুষ এবং কৃষকের ঘর পর্যন্ত একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছে দিয়েছে নরেন্দ্র মোদির সরকার।
রাহুল গান্ধীর পালটা ট্যুইট, কৃষি, বিদেশ নীতি, জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি, কর্মসংস্থানের সুযোগ সব ক্ষেত্রেই বিগত চার বছরে ডাহা ফেল করেছে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকার। রাহুলের মতে, শুধু স্লোগান তৈরি আর প্রচারে এ প্লাস পেয়েছে এই সরকার। সিপিএম সাংসদ মহম্মদ সেলিমের অভিযোগ, গত চার বছরে বেড়েছে জীবন ও জীবিকার সংকট, তীব্র হয়েছে মেরুকরণের রাজনীতি, বেড়েছে বিভাজন। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই তৎপর হয়েছেন আঞ্চলিক শক্তিগুলিকে এক ছাতার তলায় আনতে। একই কথা শোনা গেছে সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির গলাতেও। অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী তথা টিডিপি নেতা চন্দ্রবাবু নাইডু রবিবারই বলেছেন, বিজেপি’কে হারাতে সমস্ত আঞ্চলিক দল জোট বাঁধছে। ২০১৯ এ হারবে বিজেপি, কিং মেকারের ভূমিকা নেবে আঞ্চলিক দলগুলি। মোদি সরকারের চার বছর পূর্তিতে সরকারকে শুভেচ্ছা জানিয়েও বিজেপি’কে খোঁচা দিয়েছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার। তিনি বলেন, নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের তিনিও সমর্থক ছিলেন, কিন্তু এর ফলে অনেকেই নিজেদের কালো টাকা অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছে।