জিন্নাহর ছবি রাখাকে কেন্দ্র করে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংঘর্ষ

মহম্মদ আলি জিন্নাহর ছবি রাখাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত উত্তর প্রদেশের আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়। সোমবার এই ঘটনার সূত্রপাত। পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর ছবি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে রাখা হবে কিনা, এই বিতর্ককে কেন্দ্র করে তীব্র গোষ্ঠী সংঘর্ষ শুরু হয় দু’দল ছাত্রের মধ্যে। যে ঘটনার জেরে বুধবার পর্যন্ত গুরুতর জখম অন্তত ২০ জন ছাত্র। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের মধ্যে গোষ্ঠী সংঘর্ষ থামাতে পুলিশকে কাঁদানে গ্যাস ছুড়তে হয়। তাও বুধবার সন্ধ্যে পর্যন্ত পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি।
বিশ্ববিদ্য়ালয়ে মহম্মদ আলি জিন্নাহের ছবি সরানোর দাবি জানিয়ে সম্প্রতি স্থানীয় বিজেপি নেতা সতীশ গৌতম চিঠি দেন কর্তৃপক্ষকে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর ছবি কেন ছাত্র সংসদের ঘরের দেওয়ালে টাঙানো রয়েছে, তা জানতে চান বিশ্ববিদ্য়ালয় কর্তৃপক্ষের কাছে। কর্তৃপক্ষ জানায়, মহম্মদ আলি জিন্নাহ এই বিশ্ববিদ্য়ালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য় এবং এই প্রতিষ্ঠানকে গড়ে তুলতে তাঁর অবদানের জন্য দীর্ঘদিন ধরেই তাঁর ছবি এখানে রয়েছে। উত্তরে সন্তুষ্ট না হয়ে আন্দোলন শুরু করে কিছু হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। বিশ্ববিদ্য়ালয় চত্বরে তারা জিন্নাহর কুশপুত্তলিকা দাহ করার কর্মসূচি নিলে বাধা দেয়, অন্য একদল ছাত্র। এরপরই দু’দল ছাত্রের মধ্যে গণ্ডগোল শুরু হয় যা গোষ্ঠী সংঘর্ষের চেহারা নেয়। গোষ্ঠী সংঘর্ষের জন্য গত কয়েক দিন ধরেই ঐতিহ্যবাদী এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থা চলছে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজেপির অন্দরেও মতবিরোধ শুরু হয়েছে। যোগী সরকারের ক্য়াবিনেট মন্ত্রী স্বামী প্রসাদ মৌর্য, আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে জিন্নাহর ছবি রাখাকে সমর্থন করলে, বিজেপিরই রাজ্য়সভার সাংসদ হরনাথ সিংহ তাঁর তীব্র বিরোধিতা করেন। হরনাথ সিংহ এ ব্যাপারে মন্ত্রী মৌর্যের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতিকে অভিযোগ জানাবেন বলে হুমকিও দিয়েছেন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.