মাস্ক সংকট দেশজুড়ে, কেরলের জেলবন্দিরা মুখোশ তৈরি করে দিচ্ছেন সরকারকে, ভরসা যোগাচ্ছেন কেরলবাসীকে

‘অতিমারি’ করোনাভাইরাসের ছোবলে ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা ছুঁয়েছে ১১০। মহারাষ্ট্র থেকে উত্তরপ্রদেশ, কেরল থেকে কর্ণাটক প্রতিদিন বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। করোনা আতঙ্কে সতর্কতার জন্য কেরলে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মাস্কের চাহিদা। আর সেই সংকটের মুখে মাস্কের জোগান দিচ্ছে কেরলের জেলবন্দিরা। কোভিড-১৯ মোকাবিলায় কেরলবাসীকে মাস্কের জোগান দিচ্ছে সে রাজ্যের সমস্ত জেলের টেলরিং ইউনিট।
শনিবার কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন ঘোষণা করেন, রাজ্যের জেলবন্দিদের মধ্যে যারা দর্জির কাজে যুক্ত, তাদের মাস্ক তৈরির জন্য  নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। তিনি জানান, জেলবন্দিদের সংশ্লিষ্ট ইউনিটকে যুদ্ধকালীন তৎপরতার সঙ্গে মাস্ক তৈরি ও সরবরাহের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শনিবারই তিরুবনন্তপুরমের সেন্ট্রাল জেলের বন্দিদের তৈরি মাস্ক তুলে দেওয়া কেরলের স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের হাতে। এরপর মুখ্যমন্ত্রী  জেলবন্দিদের তৈরি মাস্কের ছবি-সহ এক ট্যুইটে লেখেন, সমস্যার সমাধান। আজ তিরুবনন্তপুরম কারা বিভাগের আধিকারিকরা জেলবন্দিদের তৈরি মাস্ক পৌঁছে দিলেন স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের কাছে।
করোনাভাইরাস ছড়ানোর প্রথম দিকেই কেরলে আতঙ্ক ছড়িয়েছিল। করোনায় আক্রান্ত চিনে থাকা কেরলের তিন পড়ুয়া কেরলে ফেরত আসার পর থেকে আতঙ্ক ছড়িয়েছিল। কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত অন্যান্য দেশে থাকা কেরলের বাসিন্দারাও একে একে বাড়ি ফিরে আসতে থাকায় তীব্র হয় মাস্কের চাহিদা। যদিও চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সবার মাস্ক পরার কোনও প্রয়োজনই নেই। যাঁরা করোনা আক্রান্ত রোগীর কাছাকাছি যাবেন কেবল তাঁদেরই বিশেষ ধরনের মুখোশ পরা উচিত। তা ছাড়া, যাদের ঠান্ডা লেগেছে এবং ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে সন্দেহ রয়েছে তাঁরাও মাস্ক পরতে পারেন। যদিও হাসপাতালের রোগী, কর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের মধ্যে মাস্কের তীব্র চাহিদা তৈরি হওয়ায় কেরলের জেলবন্দিদের টেলরিং ইউনিটের উপর আস্থা দেখিয়েছে পিনারাই সরকার।
কেরলে ১০ জনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া গিয়েছে। যাঁরা প্রত্যেকেই সম্প্রতি করোনা আক্রান্ত দেশগুলি সফর করেছেন। এঁদের মধ্যে একজন ইতালীয় পর্যটকও রয়েছেন। এছাড়া কেরলের ৭,০০০ মানুষ কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন।

Comments are closed.