করোনা মোকাবিলায় রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের কর্মীরা ‘প্রথমসারির যোদ্ধা’, ই-মেল বার্তা মুকেশ আম্বানীর

সারা দেশে বেড়েই চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। চলছে ২১ দিনের লকডাউন। এই পরিস্থিতিতে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে দেশের এই লড়াইয়ে রিলায়েন্সের হাজার হাজার কর্মীরা যেভাবে নিরন্তর পরিশ্রম করে দেশের মানুষের কাছে ফোন পরিষেবা থেকে শুরু করে জ্বালানি তেল সরবরাহ করার কাজ করে চলেছেন, তার জন্য তাঁদের ‘প্রথমসারির যোদ্ধা’ বলে আখ্যা দিলেন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ-এর কর্ণধার মুকেশ আম্বানী।
রিলায়েন্সে-এর প্রায় দুই লক্ষ কর্মচারীকে ই-মেল মারফত পাঠানো শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি সংস্থারর কর্মচারীদের দায়বদ্ধতা ও তাঁদের নিরলস পরিশ্রমকে কুর্ণিশ জানান। এই ২১ দিনের লকডাউনের জেরে যেখানে গোটা দেশ বাড়ির ভেতরে রয়েছে, সেই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে রিলায়েন্স জিও প্রায় ৪০ কোটি দেশবাসীকে নিরন্তর ভয়েস কলের ও ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদান করে চলেছে। এছাড়াও রিলায়েন্সের রিটেল জরুরি খাবারদাবার সহ অন্যান্য সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে সাধারণ মানুষের কাছে। এছাড়াও রিলায়েন্স লাইফ সায়েন্স-এর পক্ষ থেকে ভারতের কোভিড-১৯ পরীক্ষার ক্ষমতাও উন্নত করার চেষ্টার পাশাপাশি, রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন হাসপাতালে মাত্র ১০ দিনের মধ্যে করোনাভাইরাসের চিকিৎসার জন্য ১০০ টি বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই এই টেস্টিং ফেসিলিটি সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছবে বলেও জানান আম্বানী।
এছাড়াও একদিকে যেমন কোম্পানির তেল শোধনকারী ইউনিটগুলো জ্বালানি সহ অন্যান্য পেট্রলিয়াম সামগ্রী উৎপাদনে ব্যস্ত, তেমনই পেট্রোকেমিক্যাল সংস্থাগুলি ওষুধ সহ অন্যান্য মেডিক্যাল সরঞ্জামের প্যাকিং-এর সামগ্রী তৈরিতে ব্যস্ত।
৪ এপ্রিলের এই ই-মেলে তিনি রিলায়েন্সের কর্মীদের ও তাঁদের পরিবারের জন্য কোভিড-১৯ ট্রিটমেন্ট ব্যবস্থার কথাও ঘোষণা করেন। এছাড়াও কর্মচারীদের জন্য ‘মাই ভয়েস’ নামক একটি প্ল্যাটফর্মের কথাও ঘোষণা করেন তিনি। এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে কোম্পানির কর্মচারীরা তাঁদের মতামত ব্যক্ত করতে পারবেন।

Comments are closed.