প্রশান্ত কিশোর: দেশে করোনা-আক্রান্তদের চিকিৎসার পরিকাঠামোই নেই, পরীক্ষা হচ্ছে ১০ লক্ষের মধ্যে ১০ জনেরও কম মানুষের

সব আশার মধ্যেও তিক্ত সত্যিটা হল, করোনাভাইরাস নিয়ে ভারতে যে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তা যথেষ্ট নয়। দেশে করোনা-আক্রান্তদের জন্য উপযুক্ত চিকিৎসা পরিষেবাই নেই। ফের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ২১ দিনের লকডাউনের বিরোধিতা করে এই ভাষাতেই ট্যুইট করলেন তৃণমূলের নির্বাচনী স্ট্র‍্যাটেজিস্ট প্রশান্ত কিশোর।
করোনাভাইরাসের কারণে সতর্কতামূলক ভাবে মোদী সরকারের ২১ দিনের লকডাউনের ঘোষণার বিরোধিতা আগেই করেছেন পিকে। তাঁর দাবি, কোনও প্রস্তুতি ছাড়া দেশজুড়ে এই লকডাউনের বড় খেসারত দিতে হবে খেটে খাওয়া গরিবকে।
শনিবার একটি ট্যুইটে সেই মতামতে স্থির থেকে আরও তীব্র কটাক্ষ করে প্রশান্ত কিশোর জানান, লকডাউনে চরম বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছে। দেশে কোভিড-১৯ টেস্টের উপযুক্ত চিকিৎসা ব্যবস্থা নেই, নেই পরিকাঠামো। তাঁর দাবি, প্রতি ১০ লক্ষ মানুষের মধ্যে ১০ জনেরও কমের করোনা টেস্ট করা যাচ্ছে। ট্যুইটের শেষে হ্যাশট্যাগ দিয়ে প্রশান্ত কিশোর লেখেন, ইন্ডিয়া ডিজার্ভস বেটার (ভারতের প্রাপ্য আরও ভালো ব্যবস্থা)।

গত মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তিন সপ্তাহের জন্য লকডাউন ঘোষণার পরদিনই এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে ট্যুইট করেন ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে  বিজেপির নির্বাচনী ছক তৈরি করে দেওয়া পিকে।
তিনি লিখেছিলেন, লকডাউনের সিদ্ধান্ত হয়ত ঠিক, কিন্তু ২১ দিন অনেক বেশি। করোনা মোকাবিলায় গরিবদের জন্য তেমন প্রস্তুতি ছাড়া এই লকডাউন দেশকে  ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যেতে পারে। ট্যুইটারে পিকে-র মত সমর্থন করেন প্রাক্তন সাংবাদিক, লেখক ও চিত্র প্রযোজক প্রীতিশ নন্দী। আবার অনেকে সমালোচনাও  করেন। যার প্রেক্ষিতে প্রশান্ত কিশোর দাবি করেন, উপযুক্ত টেস্টিং, আইসোলেশন ব্যবস্থা ছাড়া ২১ দিনের লকডাউনে করোনার প্রভাব স্তিমিত হয়ে যাবে এমন কোনও ‘বৈজ্ঞানিক প্রমাণ’ নেই। বরং যে লক্ষ্যে এই লকডাউন, তা পূরণ না হলে নিশ্চিতভাবে বলা যায়, দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষের রুজিরোজগার ধ্বংস হয়ে যাবে।

 

Comments are closed.