যোগী রাজ্যের অযোধ্যায় রামনবমী মেলা ২৫ মার্চ-২ এপ্রিল: করোনার ভয় নেই, রক্ষা করবেন রামলালা, বলছেন উদ্যোক্তারা

বিশেষজ্ঞ থেকে শুরু করে সরকারি কর্তৃপক্ষ যখন করোনাভাইরাসের হামলা থেকে বাঁচতে ভিড় এড়ানোর কথা বলছেন। যখন মন্দির-মসজিদ-গির্জায় জমায়েত নিষিদ্ধ হয়েছে, তখন উত্তরপ্রদেশে যোগী রাজ্যে মহাসমারোহে পালিত হতে চলেছে রামনবমী মেলা। অবশ্যই তা সরকারি মদতে এবং পৃষ্ঠপোষকতায়। অযোধ্যায় ওই মেলা চলবে ২৫ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত।
ইংরেজি দৈনিক ডেকান হেরাল্ডের সাংবাদিকের মুখোমুখি হয়ে উত্তরপ্রদেশের চিফ মেডিকেল অফিসার ঘনশ্যাম সিং জানান, এতজন পুণ্যার্থীর স্ক্রিনিংয়ের সত্যিই কোনও পরিকাঠামো নেই তাঁদের কাছে। কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ এড়াতে উত্তরপ্রদেশ সরকারের কাছে এই রামনবমী মেলা বাতিলেরও আবেদন করেছেন তিনি। কিন্তু খোদ রাজ্যের বিজেপি সরকারই চায় মেলা হোক। তাই যোগী আদিত্যনাথ সরকারের সিদ্ধান্তকে মেনে প্রশাসনিক আধিকারিকরাও এখন বলছেন, করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে যাবতীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। মাস্ক বিলি হবে এবং পুণ্যার্থীরা কী করবেন, কী করবেন না তার তালিকাও দিয়ে দেওয়া হবে। বিজেপি নেতা থেকে শুরু করে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, রামমন্দির নির্মাণ কমিটির কর্তা, সাধুরা সবাই এক সুরে বলছেন, রামলালা কারও অনিষ্ট হতে দেবেন না।
সুপ্রিম কোর্ট যে ঐতিহাসিক অযোধ্যা রায় দিয়েছে, তার জন্য মহা সাড়ম্বরে পালিত হবে রামনবমী মেলা। অযোধ্যার জেলাশাসক, যিনি আবার মন্দির তৈরির কমিটিরও সদস্য, তিনি বলছেন, এই মেলা ঐতিহ্য ও পরম্পরার। করোনাভাইরাস এড়াতে যাবতীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। কিন্তু মেলা বন্ধ? নৈব নৈব চ। তিনি জানান, একমাস ধরেই এই মেলার তোড়জোড় চলছে।
যোগী সরকার যে বিশাল করে রামনবমী মেলা করছে, তাতে বেজায় খুশি অযোধ্যার সাধুসন্ত থেকে হিন্দুত্ব সংগঠনগুলি। অযোধ্যার মহন্ত পরমহংসের কথায়, রাম কোনও অনিষ্ট হতে দেবেন না পুণ্যার্থীদের। যোগী সরকার আবার এই মেলার সম্প্রচার দূরদর্শনে করার পরিকল্পনা নিয়েছে। ২৫ মার্চ রামনবমীর আরতি করবেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
অযোধ্যার বিজেপি বিধায়ক বেদপ্রকাশ গুপ্তার কথায়, মেলায় যারা আসবেন সবাইকে মুখোশ দিক প্রশাসন। করোনা ঠেকাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিক। কিন্তু মেলা বন্ধ করলে হিন্দুদের বিশ্বাসে আঘাত লাগবে যে!

Comments are closed.