নাগরিকত্ব বিলের বিরোধিতায় বিক্ষোভ ছড়াচ্ছে অসমজুড়ে, পুলিশের গুলিতে মৃত ৩, উত্তপ্ত ত্রিপুরা, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড

নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল এর বিরোধিতা ক্রমেই জোরালো হচ্ছে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে। পরিস্থিতি সবথেকে বেশি উদ্বেগজনক অসমে। সেখান রাজধানী গুয়াহাটি সহ রাজ্যের সর্বত্র ১৪৪ ধারা বলবৎ করা হয়েছে। নামান হয়েছে সেনা এবং আধাসেনা। বিশেষ বিশেষ জায়গায় জারি করা হয়েছে কারফিউ। রাস্তায় টহল দিচ্ছে সেনা। কারফিউ উপেক্ষা করেই পথে নেমেছেন হাজার মানুষ। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১ টার খবর অনুযায়ী নিরাপত্তা রক্ষীদের গুলিতে সেখানে প্রাণ গিয়েছে ৩ বিক্ষোভকারীর।
অসমের বিস্তীর্ণ অংশে এখনও বন্ধ রয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। বিতর্কিত এই বিলকে অসাংবিধানিক এবং অসমিয়াদের জাতিসত্তার বিরোধী আখ্যা দিয়ে পথে নেমেছেন স্কুল-কলেজের পড়ুয়া, বিশিষ্ট মানুষজন এবং সাধারণ নাগরিকরা। অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে এই বিল, কোনও অবস্থাতেই এই বিল অসমে লাগু করা যাবে না বলেই দাবি আন্দোলনকারীদের। এই পরিস্থিতি ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত বন্ধ রাখা হচ্ছে অসমের সমস্ত স্কুল। উল্লেখ্য, বুধবার রাত থেকেই আন্দোলনকারীদের তরফে একের পর এক হামলা চলেছে অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনয়াল সহ সেখানকার একাধিক বিজেপি নেতা, মন্ত্রী এবং বিধায়কের বাড়িতে। ভেঙে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে অসমের ডিজির গাড়িতে।
বিক্ষোভের আগুন ছড়িয়েছে শিবসাগর, মাজুলি, তিনসুকিয়া, ডিব্রুগড় এর মতো জেলাগুলিতে। পরিস্থিতি সামলাতে না পারায় অপসারিত করা হয়েছে অসমের এডিজি আইন শৃঙ্খলা মুকেশ আগরওয়ালকে। সরিয়ে দেওয়া হয়েছে গুয়াহাটির পুলিশ কমিশনার এবং একাধিক জেলার পুলিশ সুপারকে।
এই পরিস্থিতিতে আগামী ১৫ -১৭ ডিসেম্বর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে অসম সফরে যাওয়ার কথা জাপানের প্রধানমন্ত্রী সিনজো আবের। কিন্তু এখন তাঁদের সফর নিয়েই অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
অসমের পাশাপাশি উত্তপ্ত ত্রিপুরাও। সেখানেও নেমেছে আধাসেনা, বন্ধ ইন্টারনেট। উত্তেজনার আগুন ছড়াচ্ছে মেঘালয় ও নাগাল্যান্ডেও। সেখানেও বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা, ডাকা হয়েছে বনধ।

 

Comments are closed.