Delhi Violence: হিংসায় প্ররোচনামূলক তথ্য সম্প্রচার নয়, বেসরকারি সংবাদ চ্যানেলের উদ্দেশ্যে নির্দেশিকা জারি কেন্দ্রের
হিংসায় প্ররোচনা দেবে বা দিল্লির আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ব্যহত হতে পারে এরকম কোনও সংবাদ সম্প্রচার করা যাবে না। মঙ্গলবার এই মর্মেই দেশের বেসরকারি সংবাদমাধ্যমের উদ্দেশ্যে নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক।
জারি করা এই নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, দেশবিরোধী কার্যকলাপ বৃদ্ধি পেতে পারে এরকম কোনও তথ্য সম্প্রচার করা যাবে না। নির্দিষ্ট কোনও ঘটনা বা স্থানের নাম উল্লেখ না থাকলেও মনে করা হচ্ছে দিল্লির হিংসার প্রেক্ষিতেই এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। দিল্লি উত্তর-পূর্ব প্রান্তে সোম ও মঙ্গলবার যে হিংসা ছড়িয়েছে তাতে এখনও পর্যন্ত ১৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন বলে খবর। মৃতদের মধ্যে এক পুলিশ কর্মীও রয়েছেন।
মাস দুয়েক আগে যখন সিএএ বিরোধী আন্দোলনে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল অসম, তখনও এই প্রকার নির্দেশিকা কেন্দ্রের তরফে জারি করা হয়েছিল। নতুন করে জারি করা এই নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে এমন কোনও দৃশ্য বা শব্দ যাতে বোঝা যাচ্ছে কোনও ধর্মীয় সম্প্রদায়ের উপর আঘাত হানা হচ্ছে বা সাম্প্রদায়িক অস্থিরতার চেষ্টা হচ্ছে, তাও সম্প্রচার করা যাবে না। অর্ধসত্য, ভুয়ো বা উত্তেজক কোনও ভিডিও বা তথ্য যাতে সম্প্রচার না হয় সেদিকেও নজর রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বেসরকারি সংবাদ চ্যানেলগুলিকে।
উল্লেখ্য, উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে হিংসা নিয়ন্ত্রণে এক মাসের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। নামানো হয়েছে আধা সেনা।
দিল্লির পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মঙ্গলবারই জরুরি বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, দিল্লির উপরাজ্যপাল ছাড়াও সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিরোধী রাজনৈতিক নেতৃত্ব, পুলিশ প্রশাসনের উচ্চ পদস্থ কর্তারা।