ভোট প্রচারে কুকথা বলা ঠিক হয়নি, দিল্লি বিপর্যয় নিয়ে ব্যাখ্যা অমিত শাহের

১১ ফেব্রুয়ারি দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দেননি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। অবশেষে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির শোচনীয় পরাজয় নিয়ে মুখ খুলে অমিত শাহ জানালেন, দিল্লি ভোটে তাঁর মূল্যায়ন ভুল ছিল। তা ছাড়া ভোটের প্রচারে এত কুকথা বলাও উচিত হয়নি।
একটি সর্বভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেলের অনুষ্ঠানে তিনি স্বীকার করেন, দলের কিছু নেতা নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে দিল্লিতে যে সব কথাবার্তা বলেছেন, তার কিছুটা প্রভাব ভোট বাক্সে পড়েছে। তবে তাঁর দাবি, বিজেপি সাংসদ প্রবেশ ভর্মার বিরুদ্ধে শাহিন বাগের বিক্ষোভকারীরা দিল্লির বাসিন্দাদের বাড়িতে গিয়ে মা-বোনদের ধর্ষণ করতে পারেন বলে মন্তব্য করার অভিযোগ সত্যি না। ওই সাংসদ এই ধরনের কোনও মন্তব্য করেননি।
এদিন তিনি আরও বলেন, দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে আমাদের অনুমান মেলেনি। তাই বলে এই ফলাফলের প্রভাব নাগরিকত্ব আইন বা এনআরসির উপর পড়বে না। শাহ জানান, যদি কেউ সিএএ নিয়ে আলোচনা করতে চান তবে সেই ব্যক্তি তাঁর মন্ত্রকের কাছ থেকে আলোচনার জন্য সময় চাইতে পারে। তাঁকে তিনদিনের মধ্যে সময় দেওয়া হবে। তিনি নিজে সেই ব্যক্তির সঙ্গে আলোচনায় বসবেন। শাহিন বাগের আন্দোলনকারীদের সঙ্গেও তিনি আলোচনায় বসতে রাজি বলে জানিয়েছেন অমিত শাহ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ফের দাবি করেন, এনপিআরে  কোনও রকম কাগজ দেখানোর প্রয়োজন নেই।
 শাহ জানান, শাহিন বাগের আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পিএফআই নামে একটি সন্দেহভাজন সংগঠনের যোগাযোগের যে রিপোর্ট এসেছে, সরকার তা খতিয়ে দেখছে। তাঁর কথায়, ‘আমরা দিল্লি নির্বাচনে শুধুমাত্র জেতা বা হারার জন্য লড়িনি। দল তার মতবাদ প্রচারের লক্ষ্যে লড়াই করেছে।’ জম্মু-কাশ্মীরে যেভাবে সেখানকার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীদের বন্দি করে রাখা হয়েছে, সে প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, এই বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেয়, এর সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও যোগ নেই।

Comments are closed.