চার্জিং স্টেশনে মোবাইল চার্জ করবেন না, নিমেষে ফাঁকা হয়ে যেতে পারে আপনার অ্যাকাউন্ট, বলছে স্টেট ব্যাঙ্ক

দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের তরফে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কোনও চার্জিং স্টেশনে মোবাইল ফোন চার্জে বসাবেন না। চার্জিং স্টেশন থেকে আপনার ফোনের তথ্য চুরি হওয়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। হ্যাকাররা এখান থেকে সহজে মোবাইলের যাবতীয় তথ্য নিজেদের হাতে বন্দি করতে পারে।
বিমানবন্দর, রেল স্টেশন, শপিং মল, রেস্তরাঁ ইত্যাদি জায়গায় একসঙ্গে অনেক মোবাইল ফোন চার্জে বসানো হয়। নতুন প্রযুক্তির সাহায্যে এখানেই আক্রমণ করছে হ্যাকাররা। নয়া প্রযুক্তির মাধ্যমে আপনার ফোনে ছড়িয়ে দেওয়া হতে পারে ম্যালওয়্যার। একবার এই ম্যালওয়্যার ছড়িয়ে দিতে পারলেই কেল্লাফতে। আপনার মোবাইল ফোনের গোপন ও স্পর্শকাতর তথ্য চলে যাবে হ্যাকারদের কাছে। ব্যাঙ্কের ইউজার নেম থেকে পাসওয়ার্ডের নাগাল পেয়ে যাবে হ্যাকাররা। নিমেষে আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খালি হয়ে যেতে পারে।
প্রযুক্তির ভাষায় এই হ্যাকিংকে বলা হচ্ছে ‘জুস জ্যাকিং’।
রাস্তায় চলতে চলতে বা কাজের সূত্রে বাইরে থাকলে স্মার্টফোন বা ল্যাপটপের ব্যাটারি ফুরিয়ে গেলে কাছেপিঠে চার্জিং পয়েন্ট খোঁজা আমাদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। আর কিছু জায়গায় নিজেদের ব্র্যান্ড প্রোমোশনের জন্য বিনামূল্যে মোবাইল বা ল্যাপটপের চার্জিং স্টেশন তৈরি করেছে বিভিন্ন সংস্থা। সেখানে ঝুলতে দেখা যায় বিভিন্ন ইউএসবি পোর্ট। আপনার ফোনের মাপসই ইউএসবি পোর্ট যুক্ত করলেন, আর সঙ্গে সঙ্গে সেই ইউএসবি পোর্টের সাহায্যে আপনার ফোনে চলে যেতে পারে ম্যালওয়্যার।
২০১২ সাল থেকেই এই ‘জুস হ্যাকিং’-এর মাধ্যমে তথ্য চুরির কথা সামনে আসছে। তাই গ্রাহকদের স্বার্থে এসবিআই এই সাবধানবাণী জানালেও যে কোনও স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরই এই বিষয়ে সাবধান হওয়া উচিত।
তাই যদি একান্তই বাইরে গিয়ে মোবাইল ফোন চার্জ করতে হয়, সেক্ষেত্রে ফোন চার্জার সঙ্গে রাখুন। মোবাইলের ব্যাটারি পাল্টালে অবশ্যই তা পরিচিত দোকান থেকে কিনুন। চার্জিং স্টেশন এড়াতে পাওয়ার ব্যাঙ্ক ব্যবহার করুন। যাঁরা মোবাইল ব্যাঙ্কিং বা অনলাইন ব্যাঙ্কিং করেন, নিয়মিতভাবে পাসওয়ার্ড বদলে ফেলুন। বাইরের কোনও কম্পিউটার থেকে নিজের ব্যাঙ্কের কাজ করবেন না।

 

Comments are closed.