অগ্নিগর্ভ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, বাম ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে ঘেরাও বাবুল সুপ্রিকে উদ্ধার করতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে রাজ্যপাল, এসএফআইয়ের অফিস ভাঙচুর

বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়কে ঘিরে বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে ঘেরাও সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়কে উদ্ধার করতে বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছোলেন আচার্য এবং রাজ্যপাল জগদীপ ধানকর। রাজ্যপালকেও ঘেরাও করলেন ছাত্র-ছাত্রীদের একাংশ। সেই সঙ্গে বাবুল সুপ্রিয়কে ঘেরাও এবং হেনস্থার প্রতিবাদে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের চার নম্বর গেটের কাছে এসএফআইয়ের পার্টি অফিস ভেঙে গুঁড়িয়ে দিল বিজেপির ছাত্র সংগঠন এবিভিপি। বাবুল সুপ্রিয়কে হেনস্থা এবং বিক্ষোভের পিছনে বামপন্থী ছাত্র-ছাত্রীরা রয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন বাবুল সুপ্রিয় এবং এবিভিপি।
ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার দুপুরে। এবিভিপির নবীণবরন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছান বাবুল সুপ্রিয়। তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বামপন্থী ছাত্র-ছাত্রীদের একাংশ। বিজেপি সাংসদকে হেনস্থার অভিযোগ ওঠে। কেউ কেউ বাবুল সুপ্রিয়কে ধাক্কা দেন, তাঁর চুল ধরে টানেন। বাবুলের চশমা খুলে পড়ে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে উপাচার্য সুরঞ্জন দাস ঘটনাস্থ যান এবং ধাক্কাধাক্কিতে অসুস্থ হয়ে পড়েন। বাবুল সুপ্রিয়র সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন সুরঞ্জন দাস। পুলিশ ডাকতে অস্বীকার করেন তিনি। তারপরও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। বাবুল সুপ্রিয়কে উদ্ধার করতে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রাজ্যপাল ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রী এবং মুখ্য সচিবকে। এরপর রাজ্যপাল সন্ধ্যায় নিজেই চলে যান বিশ্ববিদ্যালয়ে।
জগদীপ ধানকর বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছে সরাসরি চলে যান ঘেরাও হয়ে থাকা বাবুল সুপ্রিয়র কাছে। বাবুলকে নিজের গাড়িতে তুলে নেন রাজ্যপাল। কিন্তু তারপরই বিক্ষোভরত ছাত্র-ছাত্রীরা রাজ্যপালের গাড়ির সামনে বসে পড়েন, এবং বাবুল সুপ্রিয় ক্ষমা না চাইলে অবস্থান চলবে বলে জানান তাঁরা। দীর্ঘক্ষণ ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে আটকে থাকেন রাজ্যপাল। তিনি সেখানে থাকার সময়ই আকস্মিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে চড়াও হন এবিভিপির কর্মীরা। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএফআইয়ের পার্টি অফিস ভেঙে লণ্ডভণ্ড করে দেন এবিভিপি কর্মীরা।

Comments are closed.