বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের পর এবার রাজ্যে আসছেন নরেন্দ্র মোদী। কয়েকদিন আগেই পুরুলিয়ায় সভা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে উৎখাতের ডাক দিয়েছিলেন অমিত শাহ। এবার লোকসভা ভোটের দামামা বাজিয়ে আগামী ১৬ জুলাই মেদিনীপুরে জনসভা করতে চলেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের আগে জঙ্গলমহলের ভোটব্যাঙ্ক যে বিজেপির পাখির চোখ, তার ইঙ্গিত কার্যত মিলতে চলেছে মোদীর এই সফর থেকে। বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানান, মেদিনীপুরের কলেজ মাঠে এই সভা হবে।
ধানসহ ১৪ টি খারিফ শষ্যের সহায়ক মূল্য বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। তার জন্যই প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানাতে চান রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, মোদী সেই জনসভায় উপস্থিত থেকে অভিনন্দন গ্রহণ করবেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কৃষক আত্মহত্যা এবং লাগাতার কৃ্ষক আন্দোলনের জেরে চাপের মুখে সম্প্রতি মোদী মন্ত্রিসভা ফসলের সহায়ক মূল্য বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মেদিনীপুরের সভা থেকে আক্ষরিক অর্থেই এক ঢিলে দু’টি পাখি মারতে চাইছেন মোদী। একদিকে যেমন ‘কৃষক বন্ধু’ এই ভাবমূর্তি তুলে ধরা যাবে তার পাশাপাশি রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলকে বার্তাও দেওয়া যাবে। পঞ্চায়েত ভোটে মেদিনীপুর, পুরুলিয়াসহ আদিবাসী অধ্যুষিত জঙ্গলমহলে যথেষ্ট ভালো ফল করেছে বিজেপি। এই অবস্থায় স্বয়ং মোদী মেদিনীপুরে সভা করে পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপি কর্মীর অস্বাভাবিক মৃত্যু কিংবা রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে কোনও বার্তা দিলে তা গেরুয়া শিবিরের ভোটব্যাঙ্ককে অনেক বেশি সুরক্ষিত করবে বলেই মনে করছেন রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব।
সম্প্রতি রাজ্য সফরে এসে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ বাংলা থেকে আসনের লক্ষ্যমাত্রাও স্থির করে দিয়েছেন। আগামী ২১ জুলাই ধর্মতলায় তৃণমূলের শহীদ স্মরণ। তার আগে ১৬ জুলাই রাজ্যে পা রাখছেন মোদী। তাই লোকসভা ভোটের প্রচারের কাউন্টডাউন কার্যত শুরু হয়ে গেল বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।